চীনের বিরুদ্ধে একাট্টা হয়ে কাজ করতে সামরিক সহযোগিতা বাড়ানোর অঙ্গীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপান।
শনিবার (১ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে সামরিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে একমত হন।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে শনিবার প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন সামরিক সদর দপ্তরে অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে স্বাগত জানান মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন।
পরে অস্টিন বলেন, তাইওয়ান প্রণালী ও এই অঞ্চলের অন্যত্র চীনের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসী ও গুন্ডামিমূলক আচরণে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রিচার্ড মার্লেস বলেছেন, বৈশ্বিক শৃঙ্খলা এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখার মধ্যেই আমাদের আগ্রহ নিহিত। কিন্তু আমরা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সেই বৈশ্বিক শৃঙ্খলাকে চাপের মধ্যে দেখতে পাচ্ছি, কারণ চীন তার চারপাশের অঞ্চলকে এমনভাবে গঠন করতে চাইছে যা আমরা আগে কখনও দেখিনি।
তবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনা প্রভাব মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র নিয়মিত কূটনৈতিক প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশগুলোর জন্য ৮১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। মূলত এই অঞ্চলে নিজের কূটনৈতিক উপস্থিতি জোরদার করার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
গত সপ্তাহে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া সফর করেছেন।
সেখানে তিনি বলেন, তাইওয়ান প্রণালীসহ সমগ্র এশিয়ায় ভয় বা দ্বিধা ছাড়াই কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র।
মূলত বেইজিং তাইওয়ানকে চীনের অংশ বলে মনে করে। এছাড়া চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে তাইওয়ানকে পৃথককারী সরু ও ব্যস্ত তাইওয়ান প্রণালীর মালিকানাও দাবি করে থাকে বেইজিং।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পূর্ব এশিয়ার সফরে কমলা হ্যারিস সিউল ভ্রমণ করেন। এ সময় তিনি বেসামরিক এলাকা পরিদর্শন করেন। মূলত উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে দক্ষিণ কোরিয়াকে রক্ষা ওয়াশিংটনের প্রতিশ্রুতি হিসেবে তিনি ওই সফর করেন।