ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৪৪.৬%

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন

ইউরোপের দেশগুলোতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে। চলতি বছর ২০২২ সালের জানুয়ারি-জুন সময়ে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের বাজারে পোশাক রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৪৪.৬% বৃদ্ধি পেয়েছে।

ইউরোপীয় কমিশনের পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাট এক পরিসংখ্যানে জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ইউরোপে সবচেয়ে বেশি পোশাক রপ্তানি করেছে চীন। এরপরই অবস্থান বাংলাদেশের।

ইউরোস্ট্যাটের তথ্য বলছে, গত বছরের একই সময়ে বাংলাদেশি উৎপাদনকারীরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে ৭.৮২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক সামগ্রী পাঠিয়েছে।

ইউরোস্ট্যাটের তথ্য বলছে, বাংলাদেশ থেকে আগের বছরের তুলনায় ৪৪.৬০% বৃদ্ধি পেয়েছে ইইউর পোশাক আমদানি, যেখানে তাদের বৈশ্বিক আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে ২৫.০৩%।

- বিজ্ঞাপন -

উল্লেখিত সময়ে চীন থেকে ইউরোপের পোশাক আমদানি ২১.৭৮% বেড়েছে। একইসময়ে তুরস্ক থেকে অঞ্চলটিতে পোশাক আমদানি বেড়েছে ২০.৩৮%।

বাংলাদেশি উৎপাদনকারীরা বলছেন, ইউরোস্ট্যাটে সাধারণত তথ্য প্রকাশে তিন মাসের ব্যবধান থাকে।

ফলে জুন থেকে অর্থনৈতিক অস্থিরতা, মুদ্রাস্ফীতির চাপ ও বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে এই অবস্থা কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। এ কারণে আসন্ন মাসে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হতে পারে।

চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন সময়ে ইউরোপীয় বাজারে বৈশ্বিক গড় পোশাক আমদানি বেড়েছে ২৫.০৩%। সেখানে শীর্ষ পোশাক আমদানির উৎস হলো চীন।

এই সময়ে চীন থেকে ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে ২১.৭৮%। দেশটি থেকে আমদানির পরিমাণ ছিল ১২.২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেসময়ে পোশাক রপ্তানিতে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি ছিল বাংলাদেশের। বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি করেছে ১১.৩১ বিলিয়ন ডলারের।

- বিজ্ঞাপন -

অপরদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের তৃতীয় বৃহত্তম পোশাকের উৎস তুরস্ক থেকে পোশাক আমদানি ২০.৩৮% বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সময়ে ইউরোপ তুরস্ক থেকে ১০.৮৯ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের পোশাক আমদানি করেছে।

একই সময়ে ইউরোপের অন্যান্য শীর্ষ পোশাক আমদানির উৎস যেমন কম্বোডিয়া, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া এবং ভারত থেকে আমদানি যথাক্রমে ২৪.৯০%, ৪০.১৫%, ৩২.২৮% ও ২৮.৬৪% হারে বেড়েছে।

এছাড়া ভিয়েতনাম এই সময়ে ১.৯৪ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে।

- বিজ্ঞাপন -

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, মহামারী সময় পার করার পরে খুচরা বিক্রি বৃদ্ধি পাওয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নে আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি বলেন, তবে মূল্যস্ফীতির কারণে বিশেষ করে জ্বালানি ও খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ২০২২ সালের আসন্ন মাসে এই অবস্থা কতটা স্থির থাকবে সেটা নিয়ে চিন্তার কারণ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা দেখছি চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি বজায় রয়েছে। ফলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ইইউ-এর আমদানি ইতিবাচক প্রবণতা বজায় রাখতে পারে।

তবে পোশাক প্রস্তুতকারকদের শঙ্কা, সেপ্টেম্বরের আয় থেকে নেতিবাচক প্রবণতা দেখা যেতে পারে।

ইপিবির প্রতিদিনের রপ্তানি তথ্য অনুসারে, সেপ্টেম্বরের প্রথম ১৮ দিনে পোশাক রপ্তানি আয় কমে ১.৭২ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। যা গত অর্থবছর ২০২১-২২ এর একই সময়ের থেকে ১২.৩৬% নেতিবাচকের দিকে গেছে।

২০২১-২০২২ অর্থবছরের সেপ্টেম্বরের প্রথম ১৮ দিনে পোশাক প্রস্তুতকারীরা ১.৯৭ বিলিয়ন ডলার আয় করেছিলেন।

(সূত্র ঢাকা ট্রিবিউন)

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!