সিলেটের গোলাপগঞ্জের বাঘায় মন্দিরে এক তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে গোবিন্দ দাস নামে মন্দিরের পুরোহিতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, গত বুধবার রাতেই পুলিশ উপজেলার বাঘা কালাকোনা এলাকা থেকে ঐ পুরোহিতকে গ্রেপ্তার করেছে। ধর্মীয় শিক্ষা লাভের জন্য ঐ তরুণী মন্দিরে গেলে পুরোহিতের লালসার শিকার হন ।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পুরোহিত গোবিন্দ দাস গোলাপগঞ্জের বাঘা ইউনিয়নের কালাকোনা গ্রামের গিরিধারী জিও মন্দিরের পুরোহিত্য করেন। তিনি টাংগাইল জেলার দেলদোহার থানার সিলিমপুর গ্রামের কালু চৌহানের ছেলে। ধর্মীয় শিক্ষা লাভের জন্য ঐ মন্দিরের পুরোহিতের কাছে প্রায়ই যাওয়া আসা করতেন কালাকোনা এলাকার বিভিন্ন বয়সী হিন্দু ধর্মের অনুসারীরা। মন্দিরের পার্শ্ববর্তী বাড়ির এক তরুণী গত ১৩ই এপ্রিল সন্ধ্যায় মন্দিরের পুরোহিত গোবিন্দ দাসের লালসার শিকার হন।
তারা আরও জানান, পুরোহিত ও তার সহযোগী দিপংকর দেব তপন (৩৮) মেয়েটিকে মন্দির থেকে জরুরী কাজের কথা বলে মন্দিরের পাশে নিয়ে যায়। সেখানে তারা মেয়েটির মুখে চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করলে তরুণী চিৎকার দেয়।
এ সময় চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন এগিয়ে এসে ঐ তরুণীকে উদ্ধার করে। পরে ভুক্তভোগী তরুণীর দেওয়া তথ্য মতে মন্দিরের পুরোহিত গোবিন্দ দাসকে এলাকাবাসী আটক করে গণধোলাই দেয়। পুরোহিত তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টার বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে তার সহযোগী দিপংকর দেব তপন পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় গোবিন্দ দাস ও দিপংকর দেব তপন এর বিরুদ্ধে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন তরুণীর বাবা।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ চৌধুরী বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে মন্দিরের পুরোহিতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার সহযোগীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।