হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ ভারতে প্রায় তিন হাজার মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করবে। এ বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, “টানা তিন বছর ধরে দুর্গাপূজার সময় আমরা সৌজন্যের নিদর্শন হিসেবে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করে আসছি।”
মোট ৬০টি বেসরকারি কোম্পানি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে দুর্গাপূজার সময় এ চালানগুলো রপ্তানির অনুমোদন পেয়েছে। প্রত্যেকে সর্বোচ্চ ৫০ টন ইলিশ রপ্তানি করবে।
তবে সরকার ৭ অক্টোবর থেকে ২২ দিন ইলিশ মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করায় মন্ত্রণালয় সর্বশেষ আদেশে রপ্তানির সময়সীমা পূর্ববর্তী নির্ধারিত সময়সীমার ৩০ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িছে।
আদেশে বলা হয়, রপ্তানি অনুমতি অন্য কোনো কোম্পানিকে হস্তান্তরের করা যাবে না বা কোনো ধরনের সাব-কন্ট্রাক্ট করা যাবে না। শুধুমাত্র অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান ইলিশের চালান রপ্তানি করতে পারবে।
২০২১ সালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রায় ২০০টি কোম্পানির আবেদনের বিপরীতে ভারতে চার হাজার ৬০০ টন ইলিশ রপ্তানির জন্য ১১৫টি সংস্থাকে অনুমোদন দেয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মাত্র এক হাজার ১০০ টন রপ্তানি হয়।
২০২০ সালে প্রায় এক হাজার ৪৫০ টন ভারতে রপ্তানি করা হয়েছিল এবং সে বছর ১৮টি সংস্থা অনুমতি পায়। ২০১৯ সালে শুধুমাত্র একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান অনুমতি পেয়েছিল এবং এটি ৫০০ টন মাছ রপ্তানি করেছিল।
রপ্তানি নীতিমালার আদেশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে ইলিশ রপ্তানি নিষিদ্ধ। তবে প্রতি বছর দুর্গাপূজার আগে দেশের বিপুল সংখ্যক রপ্তানিকারক ভারতে ইলিশ পাঠানোর অনুমতি চেয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির বিরোধিতা করার পর সরকার ২০১২ সালে রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে, সাত বছর বন্ধ রাখার পর মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালে দুর্গাপূজার আগে শর্তসাপেক্ষে ভারতে নির্দিষ্ট পরিমাণ ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়।