রাশিয়ায় নিযুক্ত জাপানের একজন কূটনীতিককে আটক করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় বন্দরনগরী ভ্লাদিভোস্তক থেকে তাকে আটক করা হয়।
রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থা এফএসবির সদস্যরা তাকে আটক করেন। তার বিরুদ্ধে দেশটিতে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ করেছে মস্কো।
আটকের পরপরই ওই কূটনীতিককে রাশিয়া ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে জাপান। পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ারও ইঙ্গিত দিয়েছে দেশটি।
গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটক করা জাপানি কনসালের নাম মোতোকি তাতসুনোরি। ঙ্গলবার এক ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন জাপানের প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিরোকাজু মাতসুনো।
তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে টোকিওর তরফে জোরালো প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। জাপানের তরফে পাল্টা প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ারও ইঙ্গিত দেন তিনি।
এফএসবি জানিয়েছে, গুপ্তচরবৃত্তির ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে আটকের পর জাপানের ওই কূটনীতককে দেশ ছাড়তে বলা হয়েছে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, কয়েক ঘণ্টা আটক রাখার পর মোতোকি তাতসুনোরি নামের ওই জাপানি কনসালকে ছেড়ে দেয় এফএসবি সদস্যরা।
মস্কোর দাবি, অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার প্রভাব সম্পর্কে গোপন তথ্য সংগ্রহের সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন ওই জাপানি কূটনীতিক। এর প্রেক্ষিতে তাকে ‘‘পারসোনা নন গ্র্যাটা’’ ঘোষণা করে দেশত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে টোকিওর কাছে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে পুতিন প্রশাসন।
এদিকে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে জাপানি কনসালের এই কর্মকাণ্ডের জন্য টোকিওর কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছে মস্কো। তবে জাপানের শীর্ষ সরকারি মুখপাত্র মাতসুনো বলেছেন, ‘‘আটককৃত কনসাল কোনো ধরনের বেআইনি কার্যকলাপে জড়িত ছিলেন না।’’
এছাড়া জাপানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাপানে নিযুক্ত রাশিয়ান রাষ্ট্রদূতকে বলেছেন, টোকিওকে ‘‘সমান পদক্ষেপ নেওয়া দরকার’’। একইসঙ্গে মস্কোর কাছ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তিনি।