বাংলাদেশের খুলনার দৌলতপুরের বণিকপাড়া থেকে নিখোঁজ রহিমা খাতুনকে (৫২) জীবিত অবস্থায় ফরিদপুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে ফরিদপুরের বোয়ালমারী গ্রামে অভিযান চালিয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি দল তাকে উদ্ধার করে।
কেএমপির উপকমিশনার (উত্তর) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, দৌলতপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম শনিবার রাতে খুলনা থেকে ফরিদপুরের বোয়ালমারী গ্রামে যায়। তারা রহিমাকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেছে। তারা এখন খুলনার পথে। খুলনায় পৌঁছালে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
রহিমা আত্মগোপনে ছিলেন বলে দাবি করেছেন মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা দৌলতপুর থানার এসআই লুৎফুল হায়দার। তিনি বলেন, ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে রহিমাকে নিয়ে দৌলতপুর থানায় পৌঁছাবো।
এর আগে ময়মনসিংহের ফুলপুরে উদ্ধারের পর দাফন হওয়া এক নারীর লাশকে নিখোঁজ রহিমার বলে দাবি করেছিলেন তার মেয়ে মরিয়ম মান্নান।
লাশ শনাক্তের জন্য শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে তিনি ফুলপুর থানায় পৌঁছান। এরপর উদ্ধারকৃত নারীর পোশাক ও আলামত দেখে দাবি করেন লাশটি তার মায়ের। ওই সময় তিনি ফেসবুকে এক পোস্টে লেখেন, আমি এইমাত্র আমার মায়ের লাশ পেয়েছি।
তবে বিষয়টি সেদিন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), খুলনার দৌলতপুর থানা ও ময়মনসিংহ থানা পুলিশ নিশ্চিত করতে পারেনি। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি পিবিআই তদন্ত করছে।
খুলনার পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মরিয়মের সঙ্গে কথা বলেছেন। উদ্ধারের বিষয়টি তাকে জানানো হয়েছে।
গত ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে পানি আনতে বাড়ি থেকে নিচে নামেন রাহিমা বেগম (৫২)। ঘণ্টা পার হলেও তিনি বাসায় ফিরে আসেন না। পরে মায়ের খোঁজে সন্তানরা সেখানে গিয়ে মায়ের ব্যবহৃত স্যান্ডেল, গায়ের ওড়না ও কলস রাস্তার ওপর পড়ে থাকতে দেখেন। রাতে সম্ভাব্য সকল স্থানে সন্ধান নেওয়ার পর মাকে পান না। এরপর সাধারণ ডায়েরি ও পরে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।