বাংলাদেশ ব্যাংক এখনও বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) দেওয়া মুদ্রার তালিকায় ভারতীয় মুদ্রা রুপিকে অন্তর্ভুক্ত না করায় বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা এক্ষেত্রে রুপি ব্যবহার করতে পারছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, “কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখনও বৈদেশিক বাণিজ্যের জন্য রুপিকে তালিকাভুক্ত করেনি।”
তিনি বলেন, “মার্কিন ডলারের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত মুদ্রায় বৈচিত্র্য আনার বিষয়টি পর্যালোচনা করছে।”
তিনি আরও বলেন, “লেনদেনের জন্য কোনো বৈদেশিক মুদ্রার অনুমোদন দেওয়ার আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আইএমএফ এর স্ট্যান্ডার্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিনিময় যোগ্যতা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখে।”
এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্থানীয় মুদ্রায় বাণিজ্য হলে দেশে মার্কিন ডলারের রিজার্ভ কমে যাওয়ার চাপ ও বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে চলমান অস্থিরতা কমে যাবে।
তারা জানান, বাংলাদেশের কাঁচামাল ও অন্যান্য পণ্য আমদানির দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস ভারত। ২০২১-২২ অর্থবছরে ভারত থেকে ১৬ দশমিক ১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের শিল্পের কাঁচামাল, মূলধনী যন্ত্রপাতি, তুলা, সুতা, কাপড় ও রাসায়নিক আমদানি করা হয়েছে।