বাংলাদেশের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশটির সাফজয়ী ফুটবলারদের লাগেজে কোনো চুরির ঘটনা ঘটেনি। ফুটবলাররা অক্ষত ও তালাবদ্ধ অবস্থায় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লাগেজ বুঝে পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরে ফুটবল দলের দুজন নারী সদস্যের ব্যাগ (হোল্ড ব্যাগেজ) থেকে ডলার ও টাকা চুরির অভিযোগ পাওয়া যায়। এই অভিযোগের ভিত্তিতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সিসি টিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করে। তাতে দেখা যায়, বিমানবন্দরে চুরির কোনও ঘটনা ঘটেনি। বুধবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কর্মকর্তা ইমরানকে অক্ষতভাবে সব লাগেজ হস্তান্তর করা হয়।
সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ বিজয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল গত ২১ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টা ৪২ মিনিটে বিজি-৩৭২ ফ্লাইটে কাঠমান্ডু থেকে ঢাকায় অবতরণ করে। ১টা ৫৮ মিনিটে ব্যাগেজ মেকআপ এরিয়ায় ট্রলি আসে। ১টা ৫৯ মিনিটে ব্যাগেজ মেকআপ এরিয়ায় প্রথম লাগেজ ড্রপ হয়। দুপুর ২টায় কনভেয়ার বেল্ট-০৮-এ প্রথম লাগেজ ড্রপ হয়। দুপুর ২টা ৮ মিনিটে মেকআপ এরিয়ায় শেষ ব্যাগেজ ড্রপ হয়।
এরপর বাফুফের প্রটোকল প্রতিনিধি ও দুজন লাগেজ ট্যাগ চেক করে সম্পূর্ণ অক্ষত ও তালাবদ্ধ অবস্থায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লাগেজ বুঝে নিয়ে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এর আগে গতকাল বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাফুফে ভবনে যাওয়ার পর রাতে জানা যায়, বিমানবন্দর থেকে ডলার ও টাকা চুরি হয়েছে ফুটবলারদের। যেখানে শামসুন্নাহার সিনিয়রের ৪০০ ডলার এবং কৃষ্ণা রানী সরকারের ৪০০ ডলার ও ৫০ হাজার টাকা চুরি গেছে। এ ছাড়া মার্জিয়ার কিছু নেপালি রুপি ও অন্যদের সাবান চুরি হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিমানবন্দরে একটি লম্বা ব্যাগে ট্রলির মধ্যে ছিল সবকিছু। সেখান থেকে এমন ঘটনা হয়েছে। রাতে বাফুফে ভবনে ফেরার পর বুঝতে পেরেছেন চুরির ঘটনা। এতে শামসুন্নাহার-কৃষ্ণাসহ অন্যদের মন বেশ খারাপ হয়।
জাতীয় দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেছিলেন, ‘রাতে ওদের ডলার ও অর্থ চুরির বিষয়টি জানা গেছে। এটা বেশ দুঃখজনক ঘটনা।’