বিশ্বব্যাপী শিক্ষা কার্যক্রম ভুল পথে এগোচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেছেন, “শিক্ষাব্যবস্থা গভীর সংকটের মধ্যে রয়েছে। বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণের পরিবর্তে শিক্ষাকার্যক্রম ক্রমাগত বৈষম্য বাড়িয়ে চলছে। অসম শিক্ষাপদ্ধতি বিভাজন তৈরি করছে।”
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) গুতেরেস বলেন, “এমন ভাবে শিক্ষাকার্যক্রম চলতে থাকলে বৈশ্বিক যে উন্নয়ন এজেন্ডা এটি বাধাগ্রস্ত হবে। করোনাভাইরাস মহামারি শিক্ষার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এ সময় অনলাইনে শিক্ষাকার্যক্রম চলমান থাকলেও দরিদ্র ছাত্ররা এটির সঙ্গে যুক্ত হতে পারেনি। এছাড়া আধুনিক প্রযুক্তির অভাবে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।”
মানবতার অগ্রগতিকে করোনাভাইরাস প্রায় পাঁচ বছর পিছিয়ে দিয়েছে বলে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক মন্দা অর্থনীতিতে পড়া দেশগুলোকেও শিক্ষায় ব্যয় বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন গুতেরেস।
সম্প্রতি রোবোটিক্স দলে অংশ নেওয়া সোমায়া ফারুকী নামে এক আফগান নারী বলেছেন, তালেবানরা ধীরে ধীরে সমাজ হতে নারীর অস্তিত্বকে মুছে ফেলতে চায়। হাজার হাজার নারী স্কুলে যাওয়ার ইচ্ছে পোষণ করলেও তারা যেতে পারছে না। যদিও ক্ষমতা গ্রহণের প্রাথমিক পর্যায়ে তালেবান সরকার কথা দিয়েছিল, নারী শিক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। তবে বাস্তবতা হলো সেই প্রতিশ্রুতি তারা রক্ষা করেনি। এমন পরিস্থিতিতে জাতিসংঘসহ বৈশ্বিক নেতাদের কাছে সহযোগিতা আশা করেছেন সেই আফগান নারী।
গুতেরেস আফগান নারী শিক্ষার ওপর বিধিনিষেধ তুলে নিতে তালেবান সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন।