মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেল এসে পড়েছে সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে। সেটি বিস্ফোরণে সেখানে বসবাসরত মো. ইকবাল (১৭) নামে এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ সময় আহত হয়েছে আরও পাঁচ জন।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড কোনারপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আহতদের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
নাইক্ষ্যংছড়ি তুমব্রু নো ম্যান্স ল্যান্ডে বসবাসরত রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ বলেন, ‘রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিয়ানমারের ওপার থেকে একটি মর্টারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। সেটি বিস্ফোরিত হলে মোহাম্মদ ইকবাল (১৫) নামের এক রোহিঙ্গা নিহত হয়। এসময় আহত হয় পাঁচ জন। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওপার থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে মর্টারশেল নিক্ষেপ করেছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রশিদ জানান, রাত ৮টার দিকে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেল এসে পড়ে ঘুমধুম ইউপির ২নং ওয়ার্ড কোনারপাড়া এলাকার সীমান্তে। ওই এলাকায় রোহিঙ্গাদের বসবাস ছিল। সেটির বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলে ওই রোহিঙ্গা নিহত হন।
ঘুমধুম ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেল সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে পড়ে এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আরও পাঁচ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। সেখানে গেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার এসআই মিঠুন সিংহ জানান, মর্টারশেলটি সীমান্তে বিস্ফোরিত হওয়ার সংবাদ শুনেছি। তবে এ ঘটনায় আহত বা নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। বিস্তারিত পরে জানানো যাবে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, নো-ম্যান্স ল্যান্ডে মর্টারশেল বিস্ফোরণে একজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছে।
গত ৯ সেপ্টেম্বর বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের বাংলাদেশ অভ্যন্তরে মিয়ানমার থেকে ছোড়া একটি বুলেট এসে পড়ে। ৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া দুটি গোলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এলাকায় পড়ে। তার আগে ২৮ আগস্ট বিকাল ৩টার দিকে মিয়ানমার থেকে নিক্ষেপ করা একটি মর্টারশেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় ঘুমধুমের তুমব্রু উত্তর মসজিদের কাছে পড়ে।