দেশের প্রথম ছয় লেনের কালনা সেতুর টোল হার নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে যানবাহন চলাচলের জন্য সেতুটি সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালনা সেতুর প্রকল্প ব্যবস্থাপক আশরাফুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সেতুটির উদ্বোধনের বিষয়ে তিনি বলেন, “সেতুটির নির্মাণকাজ ৩০ আগস্ট শেষ হয়েছে, তবে প্রধানমন্ত্রী এখনও উদ্বোধনের তারিখ নির্ধারণ করেননি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় তারিখ সম্পর্কে আমাদের অবহিত করার পরে উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেওয়া হবে।”
আশরাফুজ্জামান বলেন, “কালনা দেশের প্রথম ছয় লেনের সেতু। নেলসন লোস আর্চ টাইপের (ধনুকের মতো বাঁকা) সেতু এটি। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬৯০ মিটার এবং প্রস্থ ২৭.১ মিটার। উভয় পাশে ছয় লেনের সংযোগ সড়ক প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার। সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় প্রায় ৯৬০ কোটি টাকা।”
তিনি আরও বলেন, “সেতুটি এশিয়ান হাইওয়ের ওপর অবস্থিত। সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে সিলেটের তামাবিল হয়ে ঢাকা, ফরিদপুর, নড়াইল, যশোর, বেনাপোল, কোলকাতা পর্যন্ত সরাসরি ভূমিকা রাখবে।”
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সেতুর টোল হার নির্ধারণ করেছে। এক্ষেত্রে বড় ট্রেইলার ৫৬৫ টাকা, তিন বা ততোধিক এক্সসেল বিশিষ্ট ট্রাক ৪৫০ টাকা, দুই এক্সসেল বিশিষ্ট মিডিয়াম ট্রাক ২২৫, ছোট ট্রাক ১৭০ টাকা, কৃষি কাজে ব্যবহৃত পাওয়ার ট্রিলার ও ট্রাক্টর ১৩৫ টাকা, বড় বাসের ক্ষেত্রে ২০৫ টাকা, মিনিবাস বা কোস্টার ১১৫ টাকা, মাইক্রোবাস, পিকআপ, কনভারশন করা জিপ ও রে-কার ৯০ টাকা, প্রাইভেটকার ৫৫ টাকা, অটোটেম্পু, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, অটোভ্যান ও ব্যাটারিচালিত তিন চাকার যান ২৫ টাকা, মোটরসাইকেল ১০ টাকা এবং রিকশা, ভ্যান ও বাইসাইকেল পাঁচ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত ৭ সেপ্টেম্বর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলে অক্টোবরের যেকোনো দিন কালনা সেতু উদ্বোধন করা হবে।”
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইম্প্রুভমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে কালনা সেতু নির্মিত হয়েছে।