১৯৭৩ সালে কলেজে প্রবেশ করলাম বারাকপুর রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথে ভর্তি হলাম। কলেজে ভর্তি হলাম ছাত্রপরিষদের হাত ধরে। ভর্তি হতে ১০ টাকা লাগলো আর ছাত্রপরিষদকে চাঁদা দিলাম ২ টাকা। এখনতো ছাত্র ভর্তিতে অনেক টাকার গল্প শুনি, একালে এই তফাৎ তো হয়েছেই। স্বাভাবিক ভাবেই ছাত্র রাজনীতির আঙ্গিনায় প্রবেশের আগে আমার দীক্ষা হলো তখনকার ছাত্র নেতা দেবরায় চৌধুরীর কাছে। মন্ত্র ছিল শিক্ষার প্রগতি, সংঘবদ্ধ জীবন, দেশপ্রেম। নতুন পথে চলতে গিয়ে বুঝতে পারলাম হাওয়ায় রাজনীতি হবে না, বক্তৃতা দেওয়ার জন্য রাজনৈতিক রসদ দরকার। জানার আগ্রহ বহুগুণ বেড়ে গেলো। এখনকার কর্মীদের সেই জানার আগ্রহ নেই বললেই চলে। কলেজের লাইব্রেরীতে বহু সময় ব্যয় করলাম রবীন্দ্রনাথ, নেতাজী, রামমোহন, বিভিন্ন গবেষণামূলক বই এবং অতি অবশ্যই ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে। আমাকে প্রভাবিত করলো জাতীর পিতা মহাত্মা গান্ধী, নেতাজী, বিবেকানন্দ এবং সর্বপরি কবিগুরু। কম্যুনিষ্ট পার্টির ইস্তেহার সহ কার্ল মার্কস, ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস এবং পরবর্তীকালে সাহিত্যে মনোনিবেশ করেছি। প্রিয়দা বলতেন বক্তৃতায় যদি সাহিত্যের রস না মেশাতে পরো তাহলে সেই বক্তৃতা নিরস হয়। আর একটা জিনিষ প্রিয়দা শিখিয়ে ছিলেন সেটা হলো তোমার মঞ্চের সামনে যারা বসে থাকবে তাদের জন্য নয়, যে সমস্ত মানুষ দূরে মাইকে বক্তৃতা শুনছে তাদের মনে দাগ কাটতে পারলেই বক্তৃতার সার্থকতা। একালে এই আগ্রহ কতজন ছাত্রনেতার আছে? একালে রাজনীতি ব্যাপারটা খুব সহজ হয়ে গেছে। বক্তৃতা দিতে হলে ভালো বক্তার বক্তৃতা শোনার আগ্রহ থাকতে হয়। আমরা অমর ভট্টাচার্য্য, সর্দার আমজাদ আলি, সৌগত রায় এবং অবশ্যই প্রিয়দার বক্তৃতা শোনার জন্য বহুদূর দৌড়ে গেছি। একালে শিখে ওঠার আগেই স্টেজে ওঠার হুড়োহুড়ি। কলেজে নতুন ছাত্রছাত্রী ভর্তি হলে তাদেরকে নিজেদের দিকে টানা এটা ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার।
রাজনীতির সূত্রে পরিচয় এবং ঘনিষ্ঠতা বাড়তে লাগলো নেতাদের সাথে। যেমন, সোদপুরে নির্মল ঘোষ (নান্টুদা), স্বপন ঘোষ (মন্টুদা) জেলায় অসীত মজুমদার, বিশ্বপতি দা, হাবড়া অশোকনগরে বিমানদা ও শ্যামলদা, বারাসতে অরবিন্দদা এবং গোপাল মুখার্জীদের সাথে। জেলায় নেতৃত্ব দিতেন দীপক দত্ত। দেখতে দেখতে দিন যায় পরিচয়ের গণ্ডিও বাড়ে। ভোরবেলার প্রথম ট্রেন ধরে সুব্রতদা, প্রিয়দা, জয়ন্তদা, অশোক দেবের কাছে যাওয়া।। সুব্রত মুখার্জীর বাড়িতেই প্রথম দেখা মমতা ব্যানার্জীর সাথে তবে আলাপ হয়নি। স্হানীয়ভাবে পেলাম কৃষ্ণকুমার শুক্লা, অশোক শুক্লা, মিন্টু দাশগুপ্ত, বীরেন ঘোষ, যাদব ঘোষ, গৌরাঙ্গ ঘোষ, জয়ন্ত নিয়োগী, সুদর্শন দত্ত, অলোক পাল এবং কেষ্ট বোসদের।
উপরিউক্তদের সহচর্যে রাজনীতি করেছি চুটিয়ে, তবে আমার খুঁটি ছিল আমার দীক্ষা গুরু দেব রায়চৌধুরী। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৭ ক্ষমতায় থেকে রাজনীতি করলেও নিজেদের সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র স্বার্থে আন্দোলন করেছি যা এখন কল্পনাও করা যায় না। ১৯৭৫ এ জরুরী অবস্হা জারি করে ইন্দিরার ২০ দফা কর্মসূচীর প্রচার, ১৯৭৬ এ বিহারের পাটনায় আন্তর্জাতিক ফ্যাসিবাদ বিরোধী সম্মেলনে অংশগ্রহণ সঙ্গে ছিলেন সৌগতদা ও নান্টুদারা। এদিকে সর্বোদয় পার্টির নেতা জয়প্রকাশ নারায়ণের সবদলকে সঙ্গে নিয়ে কংগ্রেস বিরোধী মূলত ইন্দিরা বিরোধী আন্দোলন জোরদার হয়েছে। বিরোধী শক্তির প্রচারের কাছে পর্যুদস্ত হয়ে ১৯৭৭ এ লোকসভায় পরাজিত হয়ে ইন্দিরা গান্ধীর সাময়িক বিদায় ঘটলো কিন্তু দেশের অর্থনীতি তলানিতে গিয়ে ঠেকলো। ইন্দিরা গান্ধী যাদের বিশ্বাস করতেন, তারা আস্তে আস্তে ইন্দিরাকে ছেড়ে যেতে লাগলেন।
সে সময়ে আমরা আন্তর্জাতিক ফ্যাসিবাদ বিরোধী সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে পেরেছিলাম আমাদের কলেজের প্রিন্সিপ্যাল প্রয়াত শান্তি সিংহ রায় এর কল্যানে। তিনি ছিলেন শান্তি আন্দোলনের একন অগ্রণী নেতা।
৭০ দশকের গোড়ার দিকে ইন্দিরা পুত্র সঞ্জয় গান্ধীর কংগ্রেস রাজনীতিতে উত্থান হলো। জরুরী অবস্থার সময় সঞ্জয় গান্ধী একজন ক্ষমতাবান যুব নেতা ছিলেন। তিনি প্রথমেই সর্বভারতীয় যুব সভাপতি প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সীকে তার পদ থেকে পদচ্যুত করলেন। প্রিয়দাকে পদচ্যুত করায় বঙ্গে আমরা ছাত্র ও যুব কর্মীরা মুষড়ে পরলা। জরুরী অবস্থার ঘটনা বহুল রাজনৈতিক ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকলাম। এর মধ্যেই ১৯৭৭ সাল এসে গেল, ঘোষণা হয়ে গেল লোকসভার নির্বাচন। সঞ্জয় গান্ধী তখন ক্ষমতার তুঙ্গে, অন্যদিকে সব বিরোধী দল জোট করে একটি মাত্র দলের পতাকা তলে এসে “জনতাদল” গঠন করলো, মূল কারিগর ছিলেন জয়প্রকাশনারায়ন। কংগ্রেস নির্বাচনে হারলে পতন হলো লৌহমানবী ইন্দিরার। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হলেন জনতাদলের মোরারজী দেশাই। পারদর্শিতার সাথে তারা দেশ চালনা করতে পারছিলেন না। প্রথম থেকেই দলিত ও শোষিত মানুষের উপর অত্যাচার শুরু করেছিল আর এস এস বাহিনী। যে শোষিত মানুষের হয়ে লড়াই করার কথা বলতেন ইন্দিরা এবং তাদের পক্ষেই লড়াই করতেন। ১৯৭৭ সালে লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষনার দিন রাত ১২টার সময় হঠাৎ আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল। বিছানায় রেডিও নিয়ে শুয়েছিলাম ভোটের ফল জানব বলে। ঘুম ভাঙ্গার পর রেডিও খুলতেই কিশোর কুমারের হিন্দি গান “আজ ফয়শালা হো জায়েগা তু রহে ইয়া ম্যাঁয়” বুঝলাম কংগ্রেস হেরে গেছে। একটু পরেই খবরে শুনলাম রায় বেরিলিতে ইন্দিরা গান্ধী রাজনারায়নের কাছে পরাজিত। ঐ রাতে একজন বন্ধুকে সঙ্গে করে মা’কে প্রণাম করে বাড়ি ছাড়লাম, কারণ সি পি এম সকাল বেলায় কি মূর্তি ধারণ করবে সেটা জানতাম না। ব্যারাকপুরের ভোট গণনা কেন্দ্রে গিয়ে হাজির হলাম ব্যারাকপুরের কংগ্রেস প্রার্থী সৌগত রায় এগিয়ে আছেন। সন্ধ্যায় খবর এলো সৌগতদা একলক্ষ পঁচিশ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়লাভ করেছেন। সৌগতদার ঐ জয়ে বারাকপুর অঞ্চলের মূল করিগর ছিল নির্মল ঘোষ (নান্টুদা)। গভীর রাতে বাড়ি ফিরলাম কারণ এলাকায় কোনো রকম গণ্ডগোল ছিলনা।
জনতাদল ক্ষমতায় এসেই কংগ্রেস শাসিত রাজ্য সরকারগুলোকে ভেঙ্গে দিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করলো। পশ্চিমবঙ্গে জনতাদলের নেতা প্রফুল্লচন্দ্র সেন সি পি এম’র নেতৃত্বে বামপন্থীদের সাথে আসন সমঝতা না করার ভুল করে বসলেন ফলে বামপন্থীরা বঙ্গে ক্ষমতায় এলো। সি পি আই এই পর্যন্ত কংগ্রেসের সাথে ছিল কিন্তু এর কিছুকাল পরে বামফ্রন্টের অংশীদার হয়ে গেলো। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে পর্যন্ত সিপিএমের ক্যাডাররা স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্বের সাথে মিশে ছিল। নির্বাচন আসতেই তারা সমহিমায় প্রকাশ্যে চলে এলো।
তখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চরণ সিং বাঘিনীর লেজে পা দেওয়ার মতো ভুল সিদ্ধান্ত করে বসলেন। চুরির অভিযোগ এনে ইন্দিরা গান্ধীর মতো বাঘিনীকে গ্রেপ্তার করে বসলেন। সারা ভারতের মানুষ চরণ সিং এর ঐ পদক্ষেপে স্তম্ভিত হয়ে গেলো। ইন্দিরা গান্ধীর মতো বাঘিনীকে জেলে আটকে রাখবে এমন জেল ভারতবর্ষে ছিল না। স্বাধীনতা আন্দোলনে যে পরিবারের এত অবদান, স্বয়ং ইন্দিরা বাল সেনা গঠন করে স্বাধীনতা যোদ্ধাদের মদত করতেন তাকেই কি না স্বাধীন ভারতের জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? কোর্টে ইন্দিরা জামিন পেয়ে বাড়ি ফিরলেন। সেই আহত বাঘিনীর গর্জন বহু দূর থেকে আমরা অনুভব করতে পেরেছিলাম। এবার ইন্দিরা লোকসভার উপ নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন এবং লড়ে জিতলেন চিকমাগালুর থেকে। বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা ইন্দিরাকে ভয় পেল তাই তার লোকসভার সদস্যপদ অন্যায় ভাবে বাতিল করা হলো। এরই মধ্যে বিহারের বেলচিতে দলিতদের উপর অত্যাচারের সংবাদ এসে পৌঁছলে ইন্দিরা সিদ্ধান্ত নিলেন বেলচি যাওয়ার। তিনি যাতে সেখানে পৌঁছতে না পারেন সে চেষ্টাও করা হয়েছিল। পথে জল কাদায় যখন এগোনো যাচ্ছেনা তখন হাতির পিঠে সাওয়ার হয়ে ইন্দিরা বেলচি পৌঁছলেন, ইন্দিরা নামক হ্যামলিনের বাঁশিওয়ালার টানে তার সঙ্গে পিল পিল করে হাঁটতে লাগলো জনতা। জনতা দলের সরকারের মধ্যে তখন কোন্দল লেগে সরকারের পতন হলো।
এই সবের অনেক আগে নির্বাচনে পরাজয়ের কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সভায় ইন্দিরার ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে তাকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হলো। ওয়ার্কিং কমিটির সভায় মুখে আঁচল চাপা দিয়ে বসে আছেন ইন্দিরা। তারই বিশ্বস্ত সৈনিক আজ তার বিরুদ্ধে খড়গহস্ত। ইন্দিরা সঙ্গ ত্যাগ করলেন সিদ্ধার্থশংকর রায়, দেবকান্ত বডুয়া, প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সী। আমাদের রাজ্য নেতৃত্বের মধ্য সৌগতদা এবং নির্মল ঘোষ (নান্টুদা) সহ অনেকে ইন্দিরা গান্ধীকে ত্যাগ করলেন; সঙ্গে থাকলেন প্রণব মুখার্জী, গণিখান চৌধুরী এবং রাজ্যে সুব্রত মুখার্জীর সাথে তার টিমের লোকজন দেব রায়চৌধুরী সহ আমরা। আর থাকলো কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির অধিকাংশ সদস্য। ফলে জন্ম হোলো জাতীয় কংগ্রেস (আই) অর্থাৎ ইন্দিরা কংগ্রেসের।
সেকালেও দল বদল হয়েছিল, কিন্তু সেটা দল পরিচালনার নীতির সাথে মতের মিল না হওয়াতে। একালে দলবদল হচ্ছে ব্যক্তি স্বার্থ ও ক্ষমতার লোভে এবং দুর্নীতির কারণে তদন্তের হাত থেকে বাঁচতে দল বদল করা। তবে প্রতিহিংসা মূলক মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে নেতাদের এটাও সত্য।
হাত চিহ্ন নিয়ে জন্ম লো ইন্দিরা কংগ্রেসের বা ভারতের জাতীয় কংগ্রেস (আই)এর। ঘটনা বহুল ৭০ ও ৮০-র দশক, কংগ্রেস ভাঙলো ক্ষমতায় না থেকে। তাবড় তাবড় নেতা ইন্দিরা সঙ্গ ত্যাগ করলেন, উত্থান হলো সঞ্জয় গান্ধীর। জনতা দলের পতন হলে ৮০ সালে লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হলো। সঞ্জয় গান্ধী সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে অন্তত ১৫০টা এমপি টিকিট নিজের লোককে দিলেন। জনতা দলের শাসন ব্যর্থ হলে সারা ভারতে একটি শ্লোগান জনপ্রিয়তা লাভ করলো “জনতা হো গেই ফেল, খা গেই চিনি আউর মিট্টি কা তেল”। কিন্তু ইন্দিরা গান্ধী অন্য ধাতুতে গড়া মানুষ, ক্ষুরধার বুদ্ধি ধরেন তিনি নির্বাচনী বক্তৃতায় বললেন “আপনারা এমন সরকার নির্বাচিত করুন যে সরকার কাজ করবে”। জাদুর মতো কাজ হলো সেই কথায়, ইন্দিরা কংগ্রেস ৩৫৩ টা আসন জিতে ক্ষমতায় এলো। যে নেতৃত্বে ক্ষমতাচ্যুত হলেন তারই নেতৃত্বে দল পুণরায় ক্ষমতায় ফিরলো। একালে সেরকম ঘটনা কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমরা পরখ করিনি। যারা ৩০০ আসনের গর্ব করেন, ৫৬ ইঞ্চির গর্ব করেন তারা একবার ক্ষমতাচ্যুত হলে কি অবস্থা তাদের হবে সেই দৃশ্য দেখার জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
ইন্দিরা গান্ধী ক্ষমতায় এলেন, সঞ্জয় গান্ধীর হাত শক্ত হলো এবং ৯ টি রাজ্যের সরকার ভেঙ্গে দিয়ে নির্বাচন ঘোষণা হলো। সেই রাজ্যগুলির নির্বাচনেও কংগ্রেস জিতল। ৭৭ সালে সঞ্জয় গান্ধী আমেথিতে হেরেছিলেন এবং ৮০ সালে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। দলের ভেতর থেকে দাবি উঠলো উত্তরপ্রদেশে সঞ্জয় গান্ধীকে মুখ্যমন্ত্রী করা হোক। বুদ্ধিমতি ইন্দিরা গান্ধী সেই দাবি খারিজ করে ভি পি সিংহকে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী করলেন। এই ভি পি সিংহও পরে গান্ধী পরিবারের সাথে বেইমানি করবেন সে কাহিনী আরও পরে হবে। এর মধ্যে ইন্দিরা পুত্র সঞ্জয় গান্ধীর অকাল মৃত্যুতে মা ইন্দিরা মানসিক আঘাত পেলেও তাকে দেশ সেবার মহান কর্তব্য থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি।
এর পরে ১৯৮৪ সালে পাঞ্জাবের স্বর্নমন্দিরে খালিস্তান পন্থী আন্দোলন খতম করতে “অপারেশন ব্লুস্টার” এর কঠিন সিদ্ধান্ত নিতেও তিনি পিছ পা হননি, সেই কাহিনী লেখার পর ৩১ শে অক্টেবর ১৯৮৪, সেই মর্মান্তিক ইন্দিরা হত্যার কাহিনীর জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
চলবে…