উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডায় বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ দু’জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত তিনজন।
স্থানীয় সময় সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) কানাডার অন্টারিও প্রদেশের টরন্টো শহরের পশ্চিমে এই বন্দুক হামলা ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
এতে বলা হয়েছে, সোমবার টরন্টোর পশ্চিমে এক বন্দুকধারীর গুলিতে একজন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন বলে দেশটির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তবে স্থানীয় মিডিয়ার তথ্য অনুসারে এ ঘটনায় আরও একজন মারা গেছেন এবং এই সহিংসতায় কমপক্ষে তিনজন আহত হয়েছেন।
উত্তর আমেরিকার এই দেশটির অন্টারিও প্রদেশের প্রধান ডগ ফোর্ড টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় বলেছেন, ‘টরন্টোর পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা-সহ আজকের নির্বোধ সহিংসতায় আমি আতঙ্কিত।’
এএফপি বলছে, সোমবার বিকেল সাড়ে চারটার ঠিক আগে পুলিশ একজন সশস্ত্র সন্দেহভাজন অপরাধী সম্পর্কে সতর্কতা জারি করে। এসময় জানানো হয়, অন্টারিওর মিসিসাগার স্ট্রিপ মল থেকে গুলি চালানোর পরে একটি চুরি হয়ে যাওয়া গাড়িতে পালিয়ে গেছে এক ব্যক্তি।
কিছুক্ষণ পরে মিল্টনের কাছের পুলিশ জানায়, তারা সেই শহরে আরেকটি বন্দুক হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। মিসিসাগায় পুলিশ এএফপিকে বলেছে, বন্দুক হামলার ঘটনায় দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে, তবে তাদের মধ্যে একজন মারা গেছে কিনা তা নিশ্চিত করতে পারেনি তারা।
এদিকে মিল্টন পুলিশ টুইট করে জানিয়েছে, ‘ঘটনাস্থলে ১ জনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে এবং অন্য ২ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
এএফপি বলছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কানাডায় বেশ কয়েকটি ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে গত ৪ সেপ্টেম্বর দেশটির সাসকাচোয়ানের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় ছুরিকাঘাতের ঘটনাও রয়েছে। ভয়াবহ ওই ঘটনায় ১০ জন নিহত এবং ১৮ জন আহত হয়েছিলেন।
এর আগে ২০২০ সালের এপ্রিলে কানাডার নোভা স্কটিয়াতে পুলিশের ছদ্মবেশে একজন বন্দুকধারী ২২ জনকে হত্যা করেছিল। নিহতদের মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তাও ছিলেন। এর দুই বছর আগে টরন্টোতে এক ভ্যান চালক ১১ পথচারীকে হত্যা করে।
এরও আগে ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে কুইবেক সিটির একটি মসজিদে ছয়জন মুসল্লিকে হত্যা করে একজন বন্দুকধারী।