সীমান্তে হত্যাকাণ্ড শূন্যে নামিয়ে আনতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত। সীমান্তে হত্যা উল্লেখযোগ্যহারে কমেছে জানিয়ে বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) নয়াদিল্লি থেকে প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে এ সম্মতির কথা জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির শীর্ষ বৈঠক নিয়ে এ যৌথ বিবৃতি প্রচার করা হয়। এতে মোট ৩৩টি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সীমান্তে হত্যা উল্লেখযোগ্যহারে কমে আসায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন শেখ হাসিনা ও নরেদ্র মোদি। সীমান্তে এ হত্যাকাণ্ড শূন্যে নামিয়ে আনার বিষয়ে একমত হয়েছেন তারা।
অস্ত্র, মাদকদ্রব্য ও জাল মুদ্রার চোরাচালানের বিরুদ্ধে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অভিযানের প্রশংসা করেছেন দুই শীর্ষ নেতা। এছাড়া নারী ও শিশুদের পাচার রোধে দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ধারাবাহিক প্রচেষ্টাকেও প্রশংসা করেছেন তারা।
যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে দুই দেশ দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বিবৃতিতে বলা হয়, পাশাপাশি এ অঞ্চলসহ আশেপাশের দেশগুলোতে সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থা এবং মৌলবাদের বিস্তার রোধ ও প্রতিরোধে একে অপরের সহযোগিতা আরও জোরদার করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে দিল্লিতে রয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফর শেষে ৮ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরবেন তিনি।
সফরকালে, তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং ভাইস-প্রেসিডেন্ট জগদীপ ধনখর, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়ন মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।