হার দিয়ে এশিয়া কাপের মিশন শুরু করলেও বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় দিয়ে শ্রীলঙ্কা ফেরে জয়যাত্রায়। সেই পথে এবার ভারতকে হারিয়ে সব হিসেব বদলে দিয়েছে লঙ্কানরা।
সুপার ফোরে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। ভারতের বিপক্ষে ৬ উইকেটে জয় বাগিয়ে নিয়ে ফাইনাল নিশ্চিতের পাশাপাশি রোহিত শর্মার দলকে ফেলে দিয়েছে শঙ্কায়। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে রীতিমতো খুঁড়িয়ে চলা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরে ফিকে হয়ে গেছে ভারতের ফাইনাল খেলার স্বপ্ন। রোহিতদের ফাইনাল খেলতে এখন মেলাতে হবে কঠিন সমীকরণ।
এশিয়া কাপের ফাইনাল নিশ্চিতে পাকিস্তান-আফগানিস্তান ও পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার ম্যাচের দিকে চেয়ে থাকতে হবে ভারতকে। পাকিস্তান যদি আফগানিস্তানের কাছে হারে, আর শ্রীলঙ্কা যদি পাকিস্তানের বিপক্ষে জেতে তবেই সম্ভাবনা থাকবে ভারতের ফাইনালে খেলার। এজন্য অবশ্য ভারতকে জিততে হবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ভারতের ৮ উইকেট খরচায় তোলা ১৭৩ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট খরচায় জয় তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা।
টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুতেই বড় হোঁচট খায় ভারত। দলীয় ১৩ রানেই হারিয়ে বসে কেএল রাহুল ও বিরাট কোহলির উইকেট।
দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর বিন্দুমাত্র বিচলিত হননি ভারত দলপতি রোহিত শর্মা। সুরিয়াকুমার যাদবকে সঙ্গে নিয়ে রানের গতি বাড়িয়ে দলকে টেনে তোলেন বিপর্যয় থেকে।
৪১ বলে ৭২ করেন রোহিত। ২৯ বলে ৩৪ করে সুরিয়াকুমার বিদায় নেয়ার পর শেষদিকে দীপক হুদার ৭ বলে ১৫ রান ছাড়া তেমন একটা কার্যকর ইনিংস খেলা হয়নি ভারতীয় ব্যাটারদের। শেষতক ৮ উইকেট খরচায় ১৭৩ রানে থামে ভারতের রানের চাকা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত হয় শ্রীলঙ্কার। উদ্বোধনী জুটিতে পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিসের কল্যাণে ৯৭ রানের পুঁজি মেলে লঙ্কানদের। তবে ইনিংসের ১২ তম ওভারে চাহালের জোড়া আঘাতে সাজঘরের পথ ধরেন এই দুই ওপেনার। মাঠ ছাড়ার আগে নিশাঙ্কা করেন ৫২ রান, মেন্ডিসের ব্যাট থেকে আসে ৫৭ রান।
ব্যাক টু ব্যাক আঘাতের পর শ্রীলঙ্কা ঘুরে দাড়ানোর আগেই দলীয় ১১০ রানে ফের আঘাত হানেন রবিচন্দ্রন আশ্বিন। পরের ওভারেই চাহাল নিজের তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন চারিথ আশালাঙ্কাকে।
এরপর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মাঝেই দলকে দেখেশুনে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন ভানুকা রাজাপাকসে ও দাশুন শানাকা। এই দুই ব্যাটারের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে শেষ ওভারের তৈরি হয় নাটকীয়তা। ২ বলে ২ রানের হিসাব মেলাতে দেরি করেননি ব্যাটাররা। এক বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন দুই লঙ্কান।