পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোতে বোমা বিস্ফোরণে একটি যাত্রীবাহী বাসের ৩৫ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে ৩৭ জন।
মালি ও নাইজারের সাহেল সীমান্ত এলাকার গভর্নর রোডোলফ সর্গো বলেন, সোমবার সেনা সদস্যরা বুরজাঙ্গা শহর থেকে দিজিবোতে যাওয়ার সময় ইম্প্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইসের(আইইডি) বিস্ফোরণ ঘটে।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১০ বছর ধরে এই অঞ্চলে তীব্র নিরাপত্তা সংকট দেখা দিয়েছে। ২০২১ সালের মে মাসে মালি এবং ২০২২ সালের জানুয়ারিতে বুরকিনা ফাসোতে সেনাবাহিনী ক্ষমতা গ্রহণ করেন। এরপর থেকেই এ অঞ্চলটিতে হামলা চালাচ্ছে ইসলামি স্টেট গ্রুপ।
বুরজাঙ্গা শহরের গভর্নর জানিয়েছেন, বেসামরিক নাগরিকদের বহনকারী একটি গাড়িতে আইইডি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। হামলায় নিহত হওয়ায় বেশিরভাগিই ব্যবসায়ী ও ছাত্র। এর আগে আগস্টের শুরুতে দুইটি আইইডি বিস্ফোরণে অন্তত ১৫ সেনা নিহত হয়েছেন।
বুরকিনা ফাসোর সামরিক নেতারা সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়েছেন। এ ছাড়া ধর্মীয় নেতাদের মাধ্যমে কিছু সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা করছেন তারা।
তবুও, সশস্ত্র সংঘাতের অবস্থান এবং ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্ট নাইজার বা মালির তুলনায় বুরকিনা ফাসোতে এই বছর বেশি হামলার রেকর্ড করেছে। উত্তরাঞ্চলে একটি জাতিগত বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের মাধ্যমে ২০১২ সালে প্রথম দেশটিতে নিরাপত্তা সঙ্কট শুরু হয়েছিল। এরপরেই কেন্দ্রীয় সীমান্ত অঞ্চলে বিভিন্ন সশস্ত্র গ্রুপের উত্থান হয়েছিল।
নরওয়েজিয়ান শরণার্থী কাউন্সিল বলেছে, বুর্কিনা ফাসোতে প্রায় ১০ জনের মধ্যে একজন সংঘাতের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং ২০২১ সালের তুলনায় মারাত্মক খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। যার কারণ সংঘাতের ফলে দেশটির জমি এবং গবাদি পশু পরিত্যক্ত হয়েছে।