চির উত্তম
তাঁর চলায় পূর্ণচ্ছেদ শব্দটা অনুপস্থিত, খুব সচেতনভাবেই। সমস্ত কাজ, এমনকি
ঘুমের মধ্যেও বাঙালি তাঁর মতো মানুষকেই নিজের পরম প্রিয় কাছের মানুষ হিসাবে পেতে চায়।
অভিনয়ে যা হয়, বাস্তবে সেটা হয় না।
ভালো মানুষরা চলে যানও বড্ড তাড়াতাড়ি। জীবনের সেলুলয়েডে কষ্টটাও অনেকখানিই। তবুও তিনিই প্রেমের চিরকালীন যুগপুরুষ;
ভালোবাসা আজও তাঁকে পুজো করে।
অনেক পাওয়ার মাঝে অনেক না-পাওয়ায় তাঁর অদ্ভুত নির্লিপ্ততা, এক সহৃদয় সুন্দর ভালো একটা মন, জীবনের নিরন্তর কর্ম গান, রুপোলী পর্দার আড়ালে তাঁর অমোঘ চাহনিতে মহাকাল শোভিত হন, বিস্মৃতির সময় হার মানে নির্বাক বিস্ময়ে, থমকে দাঁড়ায় জীবনের মেঘ চলচ্চিত্র, লিখতে বসে কলমটাও ভাবতে থাকে।
মৃত্যুর পরও তাই তাঁর ছুটি হয় না।
এত বছর পরেও তিনি কুমারই থেকে গেলেন। সেই চোখ, সেই সংলাপ, সেই কণ্ঠ, সেই আবেগ -সবই উত্তম, সবটাই বহুমুখী।