প্রতিরক্ষাব্যবস্থা জোরদারের লক্ষ্যে তাইওয়ানের কাছে ১১০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা এসেছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফর করেন। তার ওই সফর নিয়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা শুরু হয়। তাইওয়ানের চারপাশে বড় ধরনের সামরিক মহড়া চালায় বেইজিং। এমন পরিস্থিতিতেই তাইওয়ানে অস্ত্র বিক্রির ঘোষণা দিল যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানে নতুন করে যে অস্ত্র বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে এর মধ্যে আছে ৬৬ কোটি ৫০ লাখ ডলারের “রাডার ওয়ার্নিং সিস্টেম”। এর মাধ্যমে ধেঁয়ে আসা ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করা যাবে। এছাড়া আছে ৩৫ কোটি ৫০ লাখ ডলারের ৬০টি হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র, যা যেকোনো জাহাজ ডুবিয়ে দিতে সক্ষম।
তাইওয়ানে অস্ত্র বিক্রির এ অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, তাইওয়ানের নিরাপত্তার জন্য এসব অস্ত্র খুব জরুরি।
তিনি বলেন, “তাইওয়ানের ওপর সামরিক, কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ দেওয়া থেকে সরে আসার জন্য আমরা বেইজিংয়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা চাই এর পরিবর্তে তাইওয়ানের সঙ্গে অর্থবহ আলোচনায় করুক চীন।”
তবে তাইওয়ানের কাছে এই অস্ত্র বিক্রিতে মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদন লাগবে। তবে তাইওয়ান প্রশ্নে কংগ্রেসের উভয় দল সব সময় সমর্থন দিয়ে আসছে। তাই কংগ্রেস তাইওয়ানের কাছে নতুন করে এসব অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন শিগগিরই দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে চীনা উপকূলের কাছে নিজেদের আকাশসীমার কাছে প্রবেশ করায় প্রথমবারের মতো একটি “অজ্ঞাত বেসামরিক ড্রোন” ভূপাতিত করেছে তাইওয়ানের সেনাবাহিনী। তাইওয়ানের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ নিয়ে কঠোর হুঁশিয়ারির পর ১ সেপ্টেম্বর ড্রোনটি ভূপাতিত করা হয়। এ ঘটনায় অঞ্চলটিতে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়।
তাইওয়ানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তাইওয়ানের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়া ড্রোনটিকে সরে যেতে সতর্ক করা হলেও সেটি আমাদের বার্তা উপেক্ষা করে। ফলে গুলি চালানো ছাড়া আমাদের উপায় ছিল না। এটি ছিল একটি উপযুক্ত পদক্ষেপ। চীনের উচিৎ সংযম চর্চা করা।”