বাংলাদেশে নিযুক্ত শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার সুদর্শন সেনেভিরত্নে বলেছেন, “বাংলাদেশ ও বিশ্বের অন্যান্য প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত রয়েছে শ্রীলঙ্কা। জনগণের আস্থা ফেরাতে শ্রীলঙ্কার সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।”
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, “আমরা এখন আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে বেশ কিছু প্রজেক্ট হাতে নিয়েছি। সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে কাজ করা হচ্ছে। শ্রীলঙ্কার স্টক মার্কেট এবং রপ্তানি বেড়েছে। অন্যান্য ক্ষেত্রেও অগ্রগতি হচ্ছে। পর্যটকদের আস্থার জায়গা তৈরি হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “কোভিড-১৯ মহামারি এবং সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কার অন্যতম বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের খাত পর্যটন শিল্পকে বিপর্যস্ত করেছে। বর্তমানে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে খাতটি। পর্যটকদের জন্যও অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমরা আশা করি, বাংলাদেশি পর্যটকেরা শ্রীলঙ্কাকে পর্যটন গন্তব্য হিসেবে বেছে নেবেন।”
সংবাদ সম্মেলনে শ্রীলঙ্কা কনভেনশন ব্যুরোর চেয়ার থিসুম জয়সুরিয়া বলেন, “শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ বদলে গেছে। জ্বালানি বা নিত্যপণ্যের জন্য হাহাকার নেই। শ্রীলঙ্কায় এখন বাস, ট্রেন এবং অ্যাম্বুলেন্সের মতো প্রয়োজনীয় পরিষেবার জন্য পর্যাপ্ত জ্বালানি রয়েছে। পর্যটকদের মনোরম থাকা এবং ভ্রমণের জন্য বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।”
সংবাদমাধ্যম শ্রীলঙ্কার অবস্থা অতিরঞ্জিত করে প্রকাশ করেছে মন্তব্য করে জয়সুরিয়া বলেন, “শ্রীলঙ্কায় খাদ্য সংকট নেই। বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটকরা ইতিমধ্যেই শ্রীলঙ্কা আসতে শুরু করেছেন। আমরা আশা করছি এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১ লাখেরও বেশি পর্যটক শ্রীলঙ্কায় আসবেন।”