ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কবি জসীম উদ্দীন হলের ক্যান্টিনে পচা খাবার দেওয়ার অভিযোগে তালা দিয়েছেন হলটির আবাসিক শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে খাবার খেতে এসে “নষ্ট ভাতে পোকা” দেখতে পান শিক্ষার্থীরা। পরে ক্যান্টিনের রান্নাঘর থেকে আরও পঁচা খাবার উদ্ধার করে হলের বাগানে নিয়ে আসা হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ক্যান্টিনের ব্যবস্থাপক মোবারক হোসেনের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে তাকে মারতে উদ্যত হলে সিনিয়র শিক্ষার্থীরা তাদের থামায়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ক্যান্টিনের সব খাবারই পচা এবং দুর্গন্ধযুক্ত। ভাতের নামে খাওয়ানো হচ্ছে চালের গুঁড়া। এছাড়া সবধরনের মাছ-মাংস ও তরি-তরকারি বাসি ও পচা। এ সময় তারা ক্যান্টিন ব্যবস্থাপক মোবারককে অপসারণ এবং ক্যান্টিন পরিষ্কার ও মানসম্মত করার আগ পর্যন্ত তালাবদ্ধ রাখার হুঁশিয়ারি দেন।
শিক্ষার্থীরা রান্না করা ভাত খোলা রেখে পাশেই বাসন ধোয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। তারা বলেন, এই পানি সহজেই ভাতে গিয়ে পড়ছে। এছাড়া ভাতের পোকাও দেখান তারা। রান্না করা মুরগির মাংসে পালকও পাওয়া যায়। ফ্রিজের ভেতরেও বেশিরভাগ খাবারই পচা এবং নষ্ট।
শিক্ষার্থীদের জেরার মুখে ক্যান্টিন ব্যবস্থাপক মোবারক পচা চালের বস্তা দোকানদার ভুল করে দিয়ে গেছে দাবি করেন। এছাড়া পঁচা মাংসের প্যাকেটের বিষয়ে বলেন, “এটি কোনো শিক্ষার্থী ক্যান্টিনের ফ্রিজে রেখে গেছেন।”
পরে হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ, হাউজ টিউটর ড. মো. জহিরুল ইসলাম, হল ছাত্রলীগের সভাপতি ওয়ালিউল সুমন ও সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ নষ্ট খাবার দেখেন এবং রান্না করা পালকযুক্ত মুরগী ক্যান্টিন ব্যবস্থাপককে খেতে বলেন। তিনি বলেন, “এসব খাবার শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। অপরাধীকে অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে।” পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ক্যান্টিন বন্ধ থাকবে বলে জানান তিনি।