ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় শিশুসন্তানের গলায় ছুরি ধরে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২০ আগস্ট) রাতে হরিপুর থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ। এর আগে শুক্রবার রাতে হরিপুর উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের চাপধা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হরিপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো হরিপুর উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের চাপধা হাটপুকুর গ্রামের সোলেমান আলীর ছেলে ফজলুর রহমান (২০), চাপধা পিপলা গ্রামের করিমুল ইসলামের ছেলে রিসাত (১৯) ও চাপধা গুচ্ছগ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে আকাশ (১৯)।
মামলার এজাহারে গৃহবধূ উল্লেখ করেছেন, গত শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে হরিপুর উপজেলার রুহিয়া থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় রাণীশংকৈলে বোনের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এ সময় তার সাত বছরের শিশুসন্তান সঙ্গে ছিল। রানীশংকৈল উপজেলার কামারপুকুর বাসস্ট্যান্ড থেকে পাঁচ যুবক অটোরিকশাচালকের সহায়তায় গৃহবধূকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে বকুয়া ইউনিয়নের চাপধা বাজারের আমবাগানে নিয়ে তার শিশুসন্তানের গলায় ছুরি ধরে হত্যার হুমকি দিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে তারা।
ওই দিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে গৃহবধূকে রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যায় চার যুবক। এ সময় স্থানীয় লোকজন ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ফজলুর রহমানকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেইসঙ্গে ফজলুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। ফজলুর রহমানের দেওয়া তথ্যমতে রাতেই অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত রিসাত ও আকাশকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হরিপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় পাঁচ জন জড়িত বলে জানিয়েছেন গৃহবধূ। তাদের আসামি করে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী। ইতোমধ্যে ঘটনায় জড়িত তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি দুই জনকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। গৃহবধূকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের রবিবার আদালতে তোলা হবে।