আমি তখন খুবই ছোট। ক্লাস ইলেভেনে পড়ি। দেশ, আনন্দবাজার এবং যুগান্তর পত্রিকায় তখন সবেমাত্র কয়েকটি লেখা বেরিয়েছে। কৃত্তিবাস পত্রিকার জন্য সুনীলদা, মানে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কে দুটি কবিতা দিয়েছিলাম। পর পর দুটি সংখ্যায় সেই কবিতা ছাপা না হওয়ায় আমি নিজেই সিদ্ধান্ত নিই একটি পত্রিকা বের করার। যদিও পরবর্তিকালে সুনীলদা আমার অজস্র কবিতা ছেপেছেন এবং আমার আর সুনীলদার যুগ্ম সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়েছে অজস্র সংকলন। দীর্ঘদিন চাকরিও করেছি একই অফিসে। কিন্তু সেই সময় আমি যে পত্রিকাটি করার সিদ্ধান্ত নিই, তার নাম দিয়েছিলাম— শিল্প ইস্তাহার।
সেই পত্রিকার বিজ্ঞাপন লিখে দেওয়ার জন্য বড়মামুকে বলতেই তিনি লিখে দিয়েছিলেন—
‘শিল্প ইস্তাহারে পাবেন / শিল্পলোকের খবর / অল্প কথায় বলা হলেও / বক্তব্যে জবর।’
বড়মামু যখন যা লিখতেন, একটি ছোট্ট গান লিখলেও টেবিলের উপরে থরে থরে সাজানো বিভিন্ন বাংলা ডিকশনারির যে কোনও একটি খুলে উনি প্রত্যেকটি বানান চেক করে নিতেন। শুধু জটিল বা সন্দেহজনক বানানই নয়, খুব সাধারণ বানানও।
সে দিন বড়মামুর রামগড়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আমি আর বড়মামু মেন রাস্তার ওপরে এসে দাঁড়িয়েছি। যত দূর মনে পড়ছে, যাচ্ছিলাম দেশপ্রিয় পার্কের কাছে। সুরকার নীতা সেনের বাড়িতে। হঠাৎ দেখি, ও পারের তিনতলার জানালা থেকে একটি বাচ্চা মেয়ে শিকের ফাঁক দিয়ে পা গলিয়ে বড়মামুকে লাথি দেখাচ্ছে।
আমি বড়মামুর সঙ্গে যেখানেই গেছি শুধু সম্মান পেতেই দেখেছি। কিন্তু এ কী! বড়মামুর দিকে তাকাতেই আমি অবাক। দেখলাম, লাথির প্রত্যুত্তরে তিনি মেয়েটিকে হাত নাড়ছেন। টা টা করছেন।
সে ছোটদের কাছ থেকেই হোক বা বড়দের কাছ থেকে, কোনও অপমানকেই তিনি গায়ে মাখতেন না।
একবার বড়মামুকে সঙ্গে নিয়ে মুম্বইয়ের একটি বিখ্যাত রেস্তরাঁয় ঢুকেছিলেন শচীন দেববর্মন। সেখানে বিখ্যাত সুরকার জয়কিষণের সঙ্গে হঠাৎ দেখা। শঙ্কর-জয়কিষণ জুটি তখন হিন্দি সিনেমার জীবন্ত কিংবদন্তি। জয়কিষণ উঠে এসে শচীন দেবের সঙ্গে কথা বললেন ঠিকই, কিন্তু বড়মামুর দিকে ফিরেও তাকালেন না। সেটা আঁচ করে শচীন দেব কিছুক্ষণ পরে বড়মামুকে দেখিয়ে জয়কিষণকে বলেছিলেন, ‘জানতা হ্যায়, ইয়ে কৌন হ্যায়? ইয়ে হ্যায় কলকাত্তা কা মজরুহ্ সুলতানপুরি।’
কথাটা শুনে বড়মামু নিজেও চমকে উঠেছিলেন। কারণ মজরুহ্ সুলতানপুরি তখন এ দেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম শ্রেষ্ঠ গীতিকার।
রেস্তরাঁ থেকে বেরিয়ে বড়মামু জানতে চেয়েছিলেন, এই অবিশ্বাস্য তুলনার কারণ কী? উত্তরে শচীন দেববর্মন বলেছিলেন, ‘এরা আমাকে মূল্য দেবে আর আমার সঙ্গে তুই আছিস, তোকে মূল্য দেবে না? আমার বিশ্বাস, তুইও একদিন মজরুহ্ সুলতানপুরি হবি, হয়তো তার চেয়েও বড়।’
তিনি যে সে দিন খুব একটা ভুল বলেননি তার প্রমাণ ইতিহাস। বড়মামুর লেখা গানের কথায় বাঙালি শ্রোতারা আজও সম্মোহিত হন। আহা, কী অসাধারণ সেই সব গান। আমার ভাললাগা তাঁর এক ডজন গানের প্রথম লাইনগুলো হল—
‘কিছু ক্ষণ আরও না হয় রহিতে কাছে’
‘আমার গানের স্বরলিপি’
‘গানে মোর ইন্দ্রধনু’
‘ও নদীরে একটি কথা শুধাই শুধু তোমারে’
‘এই সুন্দর স্বর্ণালি সন্ধ্যায়, এ কী বন্ধনে জড়ালে গো বন্ধু’
‘এই পথ যদি না শেষ হয়’
‘আমার স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা থাকে’
‘কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই’
‘প্রেম একবার এসেছিল নীরবে’
‘আমি যামিনী তুমি শশী হে’
‘কী আশায় বাঁধি খেলাঘর’
‘তোমার সমাধি ফুলে ফুলে ঢাকা’
বাংলাদেশের পাবনার গোপালনগর গ্রামে জন্মেছিলেন তিনি। ১৯২৫ সালের ৫ ডিসেম্বর। ডাকনাম ছিল বাচ্চু। বাবা গিরিজাপ্রসন্ন মজুমদার ছিলেন প্রেসিডেন্সি কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের স্বনামধন্য অধ্যাপক। মা সুধা মজুমদার ছিলেন একজন স্নাতক। তাঁর ছিল কবিতা ও প্রবন্ধ লেখার প্রতি অসীম আগ্রহ।
সেই সাহিত্যপ্রীতি সঞ্চারিত হয়েছিল বড়মামুর রক্তে। বাড়িতেই ছিল প্রচুর বাংলা, ইংরেজি ও সংস্কৃত ভাষার বই। খুব অল্প বয়সেই তিনি মাত্র ১৫ দিনে ইংরেজিতে অনুবাদ করে ফেলেছিলেন কালিদাসের ‘মেঘদূতম্’। পরবর্তিকালে ইংরেজি ও বাংলা দু’টি ভাষাতেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম এ পাশ করেন তিনি।
বাবার ইচ্ছে ছিল ছেলে বিলেত থেকে সিভিল সার্ভিস পাশ করে আসুক। নতুবা ব্যারিস্টার হোক। কিন্তু বাংলা গানের টানে তিনি বঙ্গদেশেই রয়ে গেলেন। খুব বেশি সচ্ছল ছিল না তাঁর আর্থিক অবস্থা। কলকাতায় গান লেখার বিনিময়ে খুব বেশি পারিশ্রমিকও পেতেন না। তাই শেষ বয়সেও বাড়ি ফেরার জন্য রামগড় মিনিবাসের জন্য তাঁকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গড়িয়াহাট মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হত। অনেকেই ঠিকমতো সম্মান-মূল্যও দিতেন না। নিজের সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন, ‘চল্লিশ বছর ধরে শুধু শব্দ সাজিয়েছি। নিজের জীবন নিয়ে অন্য কিছু ভাববার সময় পাইনি।’
খুব ছোটোবেলায় খেলাধুলোর প্রতি আগ্রহ থাকলেও তিনি ক্রমশ আকৃষ্ট হন ছবি আঁকা, লেখালেখি, কবিতা রচনা আর সঙ্গীতের মায়ায়। বেশ কিছুদিন অনুপম ঘটকের কাছে গানও শেখেন। অনুপম ঘটককে তিনি আজীবন গুরু বলে মান্য করতেন।
কলেজে পড়ার সময় পার্কস্ট্রিটের সঙ্গীত সম্মিলনীতে গিরিজাশংকর চক্রবর্তীর কাছে গান এবং মিহিরকিরণ ভট্টাচার্যের কাছে বেহালা শিখেছিলেন তিনি। যখন প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্র তখন তাঁর লেখা ‘বঁধূ গো এই মধুমাস’ গানটিতে শচীন দেববর্মন সুর দিয়ে রেকর্ড করেন। তার পর থেকে তাঁকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
শচীন দেব ছিলেন তাঁর অত্যন্ত প্রিয় মানুষ। আসলে তিনিই তাঁর রক্তে সঙ্গীতের নেশা ধরিয়ে দিয়েছিলেন। গ্রামোফোন রেকর্ডে শচীন দেবের গান চালিয়ে বড়মামু ঘণ্টার পর ঘণ্টা চোখ বুজে তন্ময় হয়ে থাকতেন।
শচীন দেব ছাড়াও সেকালের বহু বিখ্যাত গায়ক-গায়িকা তাঁর লেখা গান গেয়েছিলেন নিজেদের কণ্ঠের সমস্ত ঐশ্বর্য উজাড় করে। লতা মঙ্গেশকর, আশা ভোঁসলে, মান্না দে, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, শ্যামল মিত্র, কিশোরকুমার, রাহুল দেববর্মণ, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, আরতি মুখোপাধ্যায়, ভূপেন হাজারিকা… কে নেই সেই তালিকায়?
প্রখ্যাত সুরকার নচিকেতা ঘোষের সঙ্গে বড়মামুর ছিল দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব। যেহেতু নিজের কোনও ছেলেমেয়ে ছিল না, তাই নচিকেতার ছেলে সুপর্ণকান্তিকে নিজের ছেলের মতোই ভালবাসতেন তিনি। একবার পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ‘সে আমার ছোটো বোন’ গানটায় সুর দেবার জন্য সুপর্ণকান্তির উপরে একটু অভিমান করেছিলেন বড়মামু।
একদিন সুপর্ণকে দেরি করে বাড়ি ফিরতে দেখে তিনি গম্ভীর কণ্ঠে বলেছিলেন, ‘খুব আড্ডা দিয়ে বেড়ানো হচ্ছে, না?’
সবার সামনে এই কথা বলার জন্য সে দিনই কথার ছলে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে সুপর্ণ বলেছিলেন, ‘কাকু, তুমি কী সব গদগদে প্রেমের গান লিখছ! একটা অন্য রকমের গানও তো লিখতে পারো। এই যেমন ধরো, কফি হাউসে তো তোমরা আড্ডা মারতে, সেই আড্ডা নিয়েও তো একটা গান লিখতে পারো নাকি, পারবে? পারলে লিখে দেখাও।’
এর পর কটাক্ষ করে যাকে তিনি ‘অক্সফোর্ডের ছাত্র’ বলতেন, সেই সুপর্ণর চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে সে দিনই সারারাত জেগে বড়মামু লিখে ফেলেছিলেন অসম্ভব জনপ্রিয় সেই গান—
‘কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই /
আজ আর নেই / কোথায় হারিয়ে গেল সোনালি বিকেলগুলো সেই / আজ আর নেই…’
২০০৬ সালে বিবিসির বিচারে এই গানটি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাংলা গানের তালিকায় চতুর্থ স্থান অধিকার করে নেয়।
বড়মামুর পাঞ্জাবিতে কখনও কোনও বোতাম থাকত না। ওটা ছিল তাঁর একান্ত নিজস্ব ডিজাইন। তাঁর দেখাদেখি আমিও বোতামের জায়গায় পাঞ্জাবিতে লাগিয়ে নিয়েছিলাম চেন। বড়মামু যত দিন বেঁচে ছিলেন আমি ওই চেন লাগানো পাঞ্জাবিই পরতাম।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর গান দুই বাংলার বিপ্লবীদের ভীষণ ভাবে উজ্জীবিত করেছিল। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর সেই বিখ্যাত বক্তৃতা শুনেছিলেন তিনি। আকাশবাণীর এক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তার রেকর্ড প্লেয়ারে। জ্বালামুখী সেই ভাষণ শুনে বড়মামু এক চায়ের দোকানে বসে আড্ডা মারতে মারতে সিগারেটের প্যাকেটের সাদা কাগজের টুকরোয় লিখে ফেলেছিলেন অবিস্মরণীয় সেই গান—
‘শোনো, একটি মুজিবরের থেকে / লক্ষ মুজিবরের কণ্ঠস্বরের ধ্বনি, প্রতিধ্বনি / আকাশে-বাতাসে ওঠে রণি। / বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ…
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের আমন্ত্রণে বাংলাদেশে গিয়ে বাংলাদেশ বেতারের জন্য তিনি লিখেছিলেন আরও একটি স্মরণীয় গান—
‘মাগো ভাবনা কেন? / আমরা তোমার শান্তিপ্রিয় শান্ত ছেলে, / তবু শত্রু এলে অস্ত্র হাতে ধরতে জানি / তোমার ভয় নেই মা আমরা / প্রতিবাদ করতে জানি।’
শুধুমাত্র গানের জাদুতেই সেকালের বহু ছায়াছবিকে জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন তিনি। একদিন ‘শেষ পর্যন্ত’ ছবির প্রযোজক বড়মামুকে অসহায় কণ্ঠে বলেছিলেন, ‘আমার প্রত্যেকটা ছবিই ফ্লপ। এ বার আপনি আর হেমন্তদাই আমার ভরসা। এ ছবিটা ফ্লপ করলে আমি একেবারে পথে বসে যাব।’
সে দিনই বড়মামু এই ছবিটির জন্য লিখে ফেলেছিলেন অসামান্য কয়েকটি গান। যার প্রথম লাইনগুলো হল—
‘এই মেঘলা দিনে একলা ঘরে থাকে না তো মন’,
‘কেন দূরে থাকো শুধু আড়াল রাখো’,
‘এই বালুকাবেলায় আমি লিখেছিনু’… বলা বাহুল্য ছবিটি রাতারাতি সুপারহিট হয়ে যায়।
একদিন সঙ্গীত পরিচালক অমল মুখোপাধ্যায় বড়মামুর কাছে এসে বললেন, ‘দাদা, আমাকে এমন একটা গান লিখে দিন, যাতে আমি চিরদিন বাংলা গানের জগতে থেকে যেতে পারি।’
সে দিনই তিনি লিখেছিলেন—
‘এই সুন্দর স্বর্ণালী সন্ধ্যায়, / এ কী বন্ধনে জড়ালে গো বন্ধু’!
এত গান লিখলেও যেহেতু গীতিকারদের কবি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় না, তাই তিনিও ছিলেন ওই সম্মান থেকে বঞ্চিত। সেই আক্ষেপে জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি গুমরে মরেছিলেন।
১৯৮৫ সালে একটি সাক্ষাৎকারে গভীর দুঃখের সঙ্গে তিনি বলেছিলেন, ‘কাব্য সাহিত্যের ইতিহাসে গীতিকারদের স্থান দেওয়া হয় না।… কবি সম্মেলনে কোনও গীতিকারকে ডাকা হয় না। কবিতায় সুর দিলেই গান হয় না। গানের ভাষা সম্পূর্ণ আলাদা। তা না হলে রবীন্দ্রনাথ কবিতা ছাড়াও আলাদা করে অতগুলো গান লিখতেন না। তিনি যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন, তা একটি গানের বইয়ের জন্য।’
একদিন ক্যানসার ধরা পড়ল তাঁর। ভেঙে পড়ল ছ’ফুটেরও বেশি শরীরটা। ১৯৮৬ সালের ২৫ জুন তাঁকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হল মুম্বইয়ে। সেই শেষ মুহূর্তে যেন প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠল তাঁরই লেখা গান— ‘যেতে দাও আমায় ডেকো না, কবে কি আমি বলেছি মনে রেখো না’।
১৯৬৯ সালে আশা ভোঁসলের কণ্ঠে বিখ্যাত হয়েছিল এই গান। বড়মামুর মৃত্যুর পরে ওটা প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠায় আবার অ্যালবাম হিসেবে বেরোয়। হাসপাতালের বেডে শুয়েই তিনি লিখেছিলেন জীবনের শেষ গান—
‘এবার তাহলে আমি যাই, সুখে থাকো ভালো থাকো, মন থেকে এই চাই।’
১৯৮৬ সালের ২০ অগস্ট, ৬২ বছর বয়সে শেষ বিদায় নিলেন দশ হাজারেরও বেশি গান এবং মূলত সিনেমার জন্য লেখা দশ-দশটি উপন্যাসের জনক, বাংলা গানের প্রবাদপ্রতিম গীতিকার আমার বড়মামু।
তাঁর মৃত্যুর পর সন্ধ্যা মুখােপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘তাঁর মতাে এত বড় একজন গীতিকার বম্বের অতিসাধারণ এক হাসপাতালে প্রায় মাটিতে শুয়েই শেষের দিনগুলাে এক দুঃসহ যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে কাটান। এ কথা ভাবতে পারা যায়? তাঁর তাে রাজার মতাে চলে যাওয়ার কথা, একটা ভিখিরির মতাে তাঁর মৃত্যু কেন হবে?’
প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু উত্তর পাওয়া যায়নি। আশা করি, এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন আমি কার কথা বলছি? হ্যাঁ, তিনি বাংলা গানের কথাকে একশো বছর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রবাদপ্রতিম গীতিকার— গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার।
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার বাংলা গানের প্রবাদপ্রতিম গীতিকার
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
২০২০ সালে 'সাহিত্য সম্রাট' উপাধিতে সম্মানিত এবং ২০১২ সালে 'বঙ্গ শিরোমণি' সম্মানে ভূষিত সিদ্ধার্থ সিংহের জন্ম কলকাতায়।
আনন্দবাজার পত্রিকার পশ্চিমবঙ্গ শিশু সাহিত্য সংসদ পুরস্কার, স্বর্ণকলম পুরস্কার, সময়ের শব্দ আন্তরিক কলম, শান্তিরত্ন পুরস্কার, কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত পুরস্কার, কাঞ্চন সাহিত্য পুরস্কার, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা লোক সাহিত্য পুরস্কার, প্রসাদ পুরস্কার, সামসুল হক পুরস্কার, সুচিত্রা ভট্টাচার্য স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার, অণু সাহিত্য পুরস্কার, কাস্তেকবি দিনেশ দাস স্মৃতি পুরস্কার, শিলালিপি সাহিত্য পুরস্কার, চেখ সাহিত্য পুরস্কার, মায়া সেন স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার ছাড়াও ছোট-বড় অজস্র পুরস্কার ও সম্মাননা। পেয়েছেন ১৪০৬ সালের 'শ্রেষ্ঠ কবি' এবং ১৪১৮ সালের 'শ্রেষ্ঠ গল্পকার'-এর শিরোপা সহ অসংখ্য পুরস্কার। এছাড়াও আনন্দ পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত তাঁর 'পঞ্চাশটি গল্প' গ্রন্থটির জন্য তাঁর নাম সম্প্রতি 'সৃজনী ভারত সাহিত্য পুরস্কার' প্রাপক হিসেবে ঘোষিত হয়েছে।
একটি মন্তব্য করুন
একটি মন্তব্য করুন