রোহিঙ্গাদের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান থেকে সম্পূর্ণ সরে এসেছে ভারত। প্রতিবেশী মিয়ানমারে সংঘটিত জাতিগত সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে সেদেশে প্রবেশকারী মুসলিম শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।
বুধবার (১৭ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান ভারতের আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি।
সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে টুইটে তিনি বলেন, যারা ভারতে আশ্রয় চেয়েছেন, তারা সবসময় স্বাগতম। যুগান্তকারী এক সিদ্ধান্তে সব রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দিল্লির বক্করওয়ালা এলাকায় ইডব্লিউএস (অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল বিভাগ) ফ্ল্যাটে স্থানান্তরিত করা হবে। দিল্লি পুলিশের তত্ত্বাবধানে তাদের মৌলিক সুযোগ-সুবিধা, ইউএনএইচসিআর আইডি এবং ২৪ ঘণ্টা সুরক্ষা দেওয়া হবে।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বর্তমানে ভারতে আনুমানিক ৪০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে। তাদের অধিকাংশই সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর ২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসেছিল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জাতীয়তাবাদী বিজেপি সরকার দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবৈধ অভিবাসী এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে অভিহিত করেছে।
এর আগে, ১৯৫১ সালের শরণার্থী কনভেনশন এবং এর ১৯৬৭ প্রোটোকলের স্বাক্ষরকারী না হওয়া সত্ত্বেও প্রতিবেশি দেশ শ্রীলঙ্কার তিব্বতি শরণার্থী এবং তামিল উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দিয়েছিল ভারত।