রাজধানীর উত্তরায় গার্ডার চাপায় পাঁচ জন নিহত হওয়ার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাস র্যাপিড ট্রানজিটের (বিআরটি) কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকেদুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে তিনি এ নির্দেশ দেন। এ সময় বিআরটি প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র বলেন, “বিআরটি প্রকল্পের কাজে নূন্যতম নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা রাখা হয়নি। কমপ্লায়েন্স (নিরাপত্তা ব্যবস্থা) নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ঢাকায় এ প্রকল্পের সব ধরনের কাজ বন্ধ থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, “বিআরটি কর্তৃপক্ষ আমার সামনে আছেন। আমি গতকালও তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। সচিবের সঙ্গেও কথা হয়েছে। আমি বলেছি বিআরটির কাজ বন্ধ করে দেব। আপনারা আমার সঙ্গে পরশু বসবেন। শুধু এই প্রজেক্টই নয়, ঢাকা শহরে যতগুলো প্রজেক্ট চলছে, সবগুলো বন্ধ থাকবে।”
উল্লেখ্য, সোমবার বিকেলে উত্তরায় জসীমউদ্দীন মোড়সংলগ্ন সড়কে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) স্থাপনা প্রকল্পের একটি গার্ডার প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে। এতে ওই প্রাইভেটকারের পাঁচ আরোহী নিহত এবং দুই আরোহী হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রকল্পের কাজ চলাকালীন একটি গার্ডার ক্রেন দিয়ে তোলা হচ্ছিল। হঠাৎ ক্রেনটি গার্ডারসহ কাত হয়ে যায় এবং নিচ দিয়ে যাওয়া একটি প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে। এতে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
প্রাইভেটকারে আরোহী ছিলেন সাতজন। ছিলেন নববিবাহিত হৃদয়ের বাবা রুবেল (৬০), হৃদয়ের শাশুড়ি ফাহিমা (৪০), কনে রিয়া মনির খালা ঝর্ণা (২৮), ঝর্ণার দুই সন্তান জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)। ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। শুধু বেঁচে আছেন হৃদয় ও রিয়া।
জানা গেছে, গত শনিবার (১৩ আগস্ট) রিয়া মনি ও হৃদয়ের বিয়ে হয়। সোমবার বৌভাতের অনুষ্ঠান শেষে বাড়িতে ফেরার পথে উত্তরায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিকার হয় পরিবারটি।