ঢাকার উত্তরায় বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের গার্ডার চাপা পড়ে বিধ্বস্ত গাড়িটির পাঁচ যাত্রী নিহত হলেও বেঁচে গেছেন দুজন, যাদের বিয়ে হয়েছে সম্প্রতি।
সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকাল সোয়া ৪টার দিকে জসিম উদদীন সড়ক এলাকার প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনের সড়কে ক্রেন দিয়ে ভায়াডাক্ট ওঠানোর সময় এটি পড়ে একটি গাড়ির ওপর।
ওই গাড়ি চালাচ্ছিলেন রুবেল মিয়া (৬০), আর তাতে ছিল তার স্ত্রী-ছেলে-পূত্রবধূসহ সাত স্বজন।
চাপা পড়া সেই গাড়ি থেকে রুবেলের ছেলে হৃদয় (২৬) এবং তার স্ত্রী রিয়াকে (২১) উদ্ধার করে উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে পাঠানো হয়। হৃদয় ও তার স্ত্রীকে উদ্ধার করা গেলেও ভায়াডাক্টচাপা সেই গাড়ির ভেতরে রয়ে যান রুবেল, তার স্ত্রী ফাহিমা (৪০), ফাহিমার বোন ঝরনা (২৮), ঝরনার দুই সন্তান জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)।
নিহতের পরিবার জানায়, হৃদয়ের সঙ্গে রিয়া মনির বিয়ে হয় গত শনিবার। বৌভাত শেষে দক্ষিণ খান থেকে আশুলিয়ায় যাচ্ছিল তাদের গাড়িটি। গাড়ি চালাচ্ছিলেন হৃদয়ের বাবা রুবেল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কাজ চলাকালীন সময়ে গার্ডারটি যখন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরানোর কাজ চলছিল তখন ক্রেনটি বাম্পিং করছিল। গার্ডারের ওজন বেশি হয়ে যাওয়ায় ক্রেনটি উল্টে যায়। মূলত অতিরিক্ত ভারের কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটে। তারা এ ঘটনাকে অবহেলিতাজনিত ঘটনা বলছেন।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলছেন, “গার্ডারের ওজন ক্রেনের ওজনের চেয়ে বেশি হওয়ার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এটি সরাতে হলে গার্ডারের চেয়ে বেশি ওজনের ক্রেন লাগবে।”