সরকারি-বেসরকারি লঞ্চে যাত্রীভাড়া ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। ৩০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাবে নৌমন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে অভ্যন্তরীণ নৌপথে প্রথম ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিদ্যমান দুই টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে দাঁড়াবে তিন টাকা।
আর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটার দুই টাকা থেকে বেড়ে হবে দুই টাকা ৬০ পয়সা। আর ডেকের চারগুণ বেশি ভাড়া হবে কেবিনের। আর ৩৫ শতাংশ ভাড়া বাড়ালে প্রথম ১০০ কিলোমিটার ভাড়া হবে তিন টাকা ১০ পয়সা।
বিআইডব্লিউটিএ রোববার বিকালে নৌ-মন্ত্রণালয়ে ভাড়া বাড়ানোর এ প্রস্তাব পাঠিয়েছে। এদিকে অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ করপোরেশনের ফেরির ভাড়া ২০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব আগে থেকেই ছিল। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে নৌপথে এ ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব করা হলো।
এতে সড়কপথের পর নৌপথের যাত্রীদের ওপর নতুন খড়গ নেমে এলো। তবে ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয় ও বিআইডব্লিউটিএ’র দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদনের এখতিয়ার নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের। মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে তা দু-এক দিনের মধ্যে প্রজ্ঞাপন হতে পারে। এর পরই ভাড়া কার্যকর হবে।
যদিও লঞ্চ মালিকরা শতকরা ১০০ ভাগ ভাড়া বাড়ানোর দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। তারা ৫০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে অনড় ছিলেন। বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায়, রোববার মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে ভাড়া নির্ধারণ হয়।
৩০ শতাংশ ভাড়া বাড়ালে ঢাকা থেকে চাঁদপুর পর্যন্ত ভাড়া ১৫৬ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়াবে ২০৪ টাকা। আর ঢাকা থেকে বরিশাল পর্যন্ত ১৬১ কিলোমিটার দূরত্বের ভাড়া ৩৫২ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়াবে ৪৫৮ টাকা। এ পথে একজন যাত্রীর কেবিনের ভাড়া হবে এক হাজার ৮৩২ টাকা; যা বাসের চেয়ে অনেক বেশি।
সূত্র জানায়, ৯ মাস আগেও লঞ্চে ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে গত ৭ নভেম্বর প্রথম ১০০ কিলোমিটার দূরত্বের ভাড়া এক টাকা ৭০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে দুই টাকা ৩০ পয়সা করা হয়।
আর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটার এক টাকা ৪০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে দুই টাকা করা হয়। ওই সময়ে ১০০ কিলোমিটার দূরত্বে লঞ্চের ভাড়া ৩৫ দশমিক ২৯ শতাংশ ও বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে ৪২ শতাংশ বাড়ানো হয়। ৯ মাসের মাথায় আবারও লঞ্চের ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব এলো।