এক
আমাদের যা কিছু অর্জন সব দিয়ে
তুমি হয়ে গেলে বেহেশতের পাখি
তোমার জন্য আমরা পেয়েছিলাম
সংবিধানের চারটি স্তম্ভ
একদা তুমি তালপাকা রৌদ্রকে উপেক্ষা করে
দিয়েছিলে শ্রাবণ।
আমরা সেই শ্রাবণে গাছ লাগাই মনমাঝারে
সেই গাছ মহিরুহ হয়ে আজ সোনার বাংলায়
রুপান্তরিত হয়েছে
তুমিতো জানো একটি মহিরুহ হতে
কতটা পোড়ে মাটি
তাই তুমি জীবন দিয়ে দিয়েছিলে একটা স্থায়ী ভূখণ্ড।
দুই
যে ছিলো বাবা-মার খোকা
সে এখন পত পত করে উড়ছে
বাংলাদেশের আনাচে কানাচে
আমাদের জাতীয়তায় আছে রাষ্ট্রদূত হয়ে।
তাঁকে হাজার সালাম।
একদা যে খোকা নিজের চাদর দিয়েছিল শীতার্তকে
আজ তার প্রয়ানে পতাকাও অর্ধনমিত হয়।
আমরা শুনি হাজার পাখির গান
যে পাখিকে তিনি খুব ভালো বাসতেন
সেই পাখিরা আজ গান থামিয়ে
শোকার্ত হৃদয়ে বলে মুজিব তোমায় হাজার সালাম
তোমার জন্যই আজ ঠোঁট খুলে গান গাইতে পারি। তোমার পরিচয়েই
আজ পেয়েছি স্থায়ী ভূগোল
তিন
আনন্দধারা বহিছে ভূবনে
আমরা আনন্দ অবগাহন করি
যে বলেছিল ‘দাবাইয়া রাখতে পারবানা’ তার স্মৃতি কাঁধে নিয়ে
আমরা বেহেশতের দিকে ইশারা করি
তোমরাতো জানো এক একটি মাটির টুকরোর দাম কত?
অথচ যে দিয়েছিল একটি ভূখন্ড আর সংবিধানের চারটি স্তম্ভ
তাকে হায়নারা লুটেপুটে খায়।
আমরা দেখি দেখার কোন দাম নেই।
তাই আমাদের কখনও আদমসুরত দেখা হয় নাই।
ডুবে ডুবে জল খাওয়ার পরিবর্তে আসো
আমরা একদিন মাটির কলসিতে পানি খাই
তাতেই জেগে উঠবে বঙ্গবন্ধু।
চার
সারা জীবন জেলখেটে একদিন পিপাসার্ত বাঙালিদের বলেছিলে
‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’
তার বাইলজে একটি জাতি সৃষ্টি হয়েছিল। আর পাখিরা কিচিরমিচির করে তার গান গায়: আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।
পাঁচ
তোমাদের পকেটগেটে একটি কবিতা আটকে আছে যে কবিতা লিখেছিল বঙ্গবন্ধু। আজ তার প্রয়াণদিবস
তোমরা শোক রেলি নিয়ে যাবে টুঙ্গিপাড়ায় যেখানে একদিন ৫৭০ সাবান দিয়ে তাকে গোছল করানো হয়েছিল
তুমি যদি পাও সেই সাবানের ঘ্রাণ
তাহলেই ফুটবে তোমার মনে বাঙালির ঘ্রাণ।
ছয়
আমাদের অসহায় জীবনের একমাত্র অবলম্বন বঙ্গবন্ধু যাকে বৈচির মালা দিয়ছিল এক কিশোরী। তার চিঠিতে
সে বলেছিল সেইসব কিশোর-কিশোরীর কথা।
যারা নির্যাতিত নিপীড়িত তাদের কথার ঘ্রানে
আজ বাংলাদেশ বেতইন ফলের মতো উজ্জ্বল হয়ে
বলে- তোমার জন্যই বাংলাদেশ।
তোমার জন্যই আজ বাঙালি জাতি।