সোনা চোরাচালানের মাধ্যমে দেশ থেকে বছরে ৭৩ হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি—বাজুস। শনিবার (১৩ আগস্ট) ঢাকায় সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বাজুস চেয়ারম্যান এনামুল হক খান দোলন এ কথা জানান।
অর্থপাচার ও স্বর্ণ চোরাচালান বন্ধে সরকারকে উদ্যোগ নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে দেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের এই সংগঠন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন এন্টি স্মাগলিং অ্যান্ড ল’ এনফোর্সমেন্টের চেয়ারম্যান এনামুল হক খান দোলন।
তাদের দাবি, প্রভাবশালী সিন্ডিকেট প্রতিবেশী দেশে সোনা চোরাচালানের ট্রানজিট হিসেবে বাংলাদেশকে ব্যবহার করে। যা বন্ধ করা উচিত।
বাংলাদেশ বিমান, সড়ক ও নৌপথে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২০০ কোটি টাকার সোনা পাচার হয় বলে তারা জানান।
জুয়েলার্স সমিতির নেতারা জানান, স্বর্ণ চোরাচালান সংক্রান্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য ও সংবাদপত্রের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে স্বর্ণ চোরাচালান ও মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছেন তারা।
এক প্রশ্নের জবাবে বাজুস নেতারা বলেন, বাংলাদেশে ভ্রমণকারীদের ব্যাগেজের মাধ্যমে ১৫ থেকে ২০ হাজার ভরি সোনা আমদানি করা হচ্ছে যা বৈধ।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন বাজুসের সহ-সভাপতি বিধান মালাকার, সদস্য ইকবাল উদ্দিন, স্বপন চন্দ্র কর্মকার, বিকাশ ঘোষ, বাবুল রহমান।