সাম্প্রতিক সময়ে চলন্তবাসে ধর্ষণ ও ডাকাতির ঘটনা বেড়েছে। গত কয়েক বছরে টাঙ্গাইলে চলন্তবাসে একাধিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে এক তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যাও করা হয়েছে। এ ঘটনায় দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছিল। সর্বশেষ ৪ আগস্ট কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা ঈগল পরিবহনের একটি চলন্ত যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি ও এক নারীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ধরণের ঘটনা নতুন করে উদ্বেগে ফেলেছে পুলিশকে।
পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, এসব ঘটনায় যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া না গেলে এ জাতীয় অপরাধ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে ডাকাতি রোধে ১০টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট সকল ইউনিটকে। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়েছে-
ডাকাতির ঘটনা ঘটলে এজাহারকারীর বক্তব্যের আলোকে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা করতে হবে। এজাহারকারীর দেওয়া তথ্যে অসামঞ্জস্যতা দেখা দিলে যাচাই-বাছাই করে দ্রুত বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে হবে।
কাতির মামলায় পুলিশ সুপার বা মেট্রো ডিসি মামলা তদারক করবেন। ডাকাতির মামলা রুজু হলে পুলিশ সুপার নিজে অথবা ন্যূনতম একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তদারক করবেন। সাজাভোগকারী ডাকাত ও জামিনপ্রাপ্ত আসামিদের প্রয়োজনীয় তথ্যসহ তালিকা তৈরি করতে হবে এবং তাদের অবস্থান ও গতিবিধি সম্পর্কে খোঁজখবর রাখতে হবে।
ডাকাতির রহস্য উদঘাটনে প্রয়োজন মনে করলে পার্শ্ববর্তী পুলিশ ইউনিটগুলোর সঙ্গে সমন্বয় বৃদ্ধি ও তথ্য বিনিময় করতে হবে। ঘটনার পরপরই সম্ভাব্য স্থানে আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালাতে হবে এবং দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।
ডাকাতি, ছিনতাই ও মাদক মামলার কারণে বরখাস্তকৃত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাবেক সদস্যদের তালিকা সংরক্ষণ করতে হবে এবং তাদের অবস্থান ও গতিবিধির খোঁজখবর রাখতে হবে।
সময়ে সময়ে একাধিক ইউনিট সমন্বিতভাবে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করবেন এবং মামলার তদন্ত কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করে পুলিশ রিপোর্ট দাখিল করতে হবে।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, মহাসড়কসহ বিভিন্ন বাসাবাড়িতে ডাকাতিতে জড়িত আসামিরা বারবার একই ধরণের অপরাধ করেও জামিন পেয়ে যাচ্ছে। বেড়িয়ে এসে আবারও ডাকাতিতে জড়ায়।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহাদত হোসেন সোমা বলেন, “ডাকাতির মামলার আসামিদের আমরা গুরুত্ব দিয়ে গ্রেপ্তার করি। কিন্তু তারা ছাড়া পেয়ে আবার ডাকাতিতে জরায়। এমন ডাকাতদের তালিকা করা হচ্ছে।”