দেশে ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণে সর্বোচ্চ রেকর্ড করেছে। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, দেশে ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ২৫ কোটি টাকা।
বড় ঋণগ্রহীতাদের ঋণ পরিশোধে কিস্তি শিথিল করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের মধ্যেও খেলাপি ঋণের পরিমাণে এই রেকর্ড হলো।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অস্থায়ী তথ্য অনুসারে, এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ১১ হাজার ৮১৮ কোটি টাকা এবং শ্রেণিবদ্ধ ঋণের পরিমাণ মোট এক লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত ব্যাংকগুলো ১৩ লাখ ৯৮ হাজার ৫৯২ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে। যার মধ্যে এক লাখ ২৫ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা খেলাপি হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। এর অর্থ ৮.৯৬% ঋণ শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে যা দেশে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে খেলাপি ঋণ ছিল এক লাখ ১৩ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা।
এছাড়া ২০২১ সালের জুন থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২৬ হাজার ৬৩ কোটি টাকা। ২০২১ সালের জুন মাসে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৯ লাখ ৯০ হাজার ২০৫ কোটি টাকা।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, “খেলাপিদের জন্য বিশেষ ছাড় বন্ধ না হলে খেলাপি ঋণ কমবে না। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, খেলাপিরা এখন ভাবছে ঋণ পরিশোধ না করলে ভবিষ্যতে আরও ছাড় পাব। যতদিন সুবিধা অব্যাহত থাকবে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়তেই থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, “খেলাপি ঋণ কমানোর একমাত্র উপায় সুবিধা বন্ধ করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া। বাস্তবে, এটি এক লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকার অনেক বেশি। কারণ কিছু তথ্য যোগ করা হয়নি।”