কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে প্রথম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলায় পড়েছেন স্থানীয় এক মাদ্রাসা শিক্ষক। অভিযুক্ত মৌলভী বিল্লাল হোসেন নাঙ্গলকোট উপজেলার বক্সগঞ্জ ইউনিয়নের শুভপুর গ্রামের কাজী বাড়ির ওয়াছকিয়া কুরআনিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানার শিক্ষকতা করে আসছেন।
গত ৫ই এপ্রিল সোমবার ১ম শ্রেণীর আরবী পাঠে পড়া না পারায় প্রথমে ঐ ছাত্রীকে কান ধরান এবং পরে তাকে ধর্ষণ করেন। এসময় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অন্য হুজুরদের খবর দিলে সবাই মিলে বিল্লাল হোসেনকে আটক করে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের হাতে তুলে দেন। ধর্ষিতা শিশুকে প্রথমে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে তারা প্রথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে স্থানান্তর করেন। বর্তমানে ঐ শিক্ষার্থী কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
ছাব্বিশ বছর বয়সী অভিযুক্ত শিক্ষক বিল্লাল হোসেন খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলার মানিকছড়ি ইউনিয়নের চেংগুচড়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।
নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ধর্ষিতার বাবার অভিযোগ করা এজাহার মতো ধারা৯(১) ২০০০সালের নারী শিশু নির্যাতন সংশোধনী ২০০৩ মামলা করা হয়েছে।