চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের বৈঠকের পর চারটি চুক্তি ও সমঝোতা সই হয়েছে। রবিবার (৭ আগস্ট) সকালে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এসব চুক্তি ও সমঝোতা সই হয়।
রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে সকাল পৌনে ৮টায় বৈঠকে বসেন চীনের স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের জানান, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে দুদেশের মধ্যে চারটি চুক্তি ও সমঝোতা সই হয়েছে।
এসব চুক্তি ও সমঝোতার মধ্যে রয়েছে সংস্কৃতি বিষয়ক সহযোগিতা, দুর্যোগ প্রতিরোধ বিষয়ক সহযোগিতা ও সমুদ্র বিজ্ঞান বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চীনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম সহযোগিতা।
আরও একটি বিষয়ে চুক্তি সই হয়েছে সেটা বিবৃতিতে জানানো হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি দেখে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী খুশি।
ওয়াং ভবিষ্যতে যৌথ সহযোগিতার ওপর জোর দেন এবং এক চীন নীতিতে বাংলাদেশের অবস্থানের প্রশংসা করেন। রোহিঙ্গা ইস্যুতে এক প্রশ্নের জবাবে শাহরিয়ার বলেন, আমাদের অবশ্যই এটা (রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিস্থিতি) বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, চীন বলেছে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে এবং রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবে।
চীনের মন্ত্রী ওয়াং শনিবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেখানে তিনি দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানান শাহরিয়ার আলম। বাংলাদেশে তার ২৪ ঘণ্টারও কম সফর শেষ করে মঙ্গোলিয়া চলে গেছেন ওয়াং।
চীনের ডেপুটি চিফ অফ মিশন হুয়ালং ইয়ান বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই মোমেনের সাথে তার বৈঠকে বলেছেন, এখন থেকে সব বাংলাদেশি শিক্ষার্থী চীনে ফিরে আসবে এবং সে অনুযায়ী ভিসা দেওয়া হবে।
রবিবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ওয়াংকে বিদায় জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।