গেল মৌসুমে পিএসজিকে যেন একাই টেনেছিলেন কিলিয়ান এমবাপে। লিওনেল মেসি আর নেইমার যেন ছিলেন নিজেদের ছায়া হয়ে। তবে এই মৌসুমের শুরুতেই দেখা মিলছে ভিন্ন দৃশ্যের। আগের ম্যাচে নঁতের বিপক্ষে গোল করেছিলেন দু’জনেই, পিএসজি জিতেছিল সুপার কাপ শিরোপা। মেসি গোল করলেন কাল রাতেও, নেইমার গোল তো করেছেনই, করেছেন অ্যাসিস্টের হ্যাটট্রিকও; তাতে পিএসজি ক্লেহমঁকে ৫-০ গোলে হারিয়ে করেছে লিগ মৌসুমের শুভসূচনা।
চোটের কারণে কিলিয়ান এমবাপে খেলেননি এই ম্যাচে। তবে মেসি-নেইমার ছন্দে থাকলে যা হয়, পুঁচকে ক্লেহমঁর বিপক্ষে এমবাপের অভাব মোটেও টের পায়নি পিএসজি।
গেল মৌসুমে লিগে দুইবারই ক্লেহমঁকে হারিয়েছিল পিএসজি। সবশেষ হারিয়েছিল ৬-১ গোলে, সেই ম্যাচে এমবাপে-নেইমার দু’জনেই করেছিলেন হ্যাটট্রিক। গত রাতে এমবাপে না থাকলেও নেইমার শুরু থেকে ছিলেন সপ্রতিভ। ৯ মিনিটে তিনিই এগিয়ে দেন দলকে। বাইলাইনের কাছ থেকে কাটব্যাক করেন পাবলো সারাবিয়া, মেসি সে বলটা ফ্লিক করে দেন নেইমারকে, বক্স থেকে নিখুঁত এক শটে তিনি নেইমার এগিয়ে দেন পিএসজিকে।
নেইমারই গড়ে দিয়েছেন পরের গোলের সুযোগ। ২৬ মিনিটে তার পাস মেসি ধরতে না পারলেও আশরাফ হাকিমি নাগাল পেয়ে যান, এরপর বক্সে ঢুকে করেন গোল। নেইমার এরপরের গোলেও রেখেছেন বড় অবদান। ৩৮ মিনিটে তার ফ্রি কিক থেকেই গোল পেয়েছেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মারকিনিয়োস।
বিরতির পর যেন কিছুটা থিতিয়ে পড়েছিল পিএসজি। শেষ দশ মিনিটে মেসির কল্যাণে জাগল আবারও। ৮০ মিনিটে আক্রমণে উঠে এসে মেসি বল বাড়ান নেইমারকে। বাম পাশ দিয়ে তিনি শট করার মতো অবস্থানে থাকলেও বলটা তিনি বাড়িয়ে দেন বক্সের মধ্যে থাকা মেসিকে। সহজ এক গোল করে স্কোরশিটে নাম তোলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।
তবে মেসি তার সব জাদু যেন তুলে রেখেছিলেন ম্যাচের ৮৬তম মিনিটের জন্য। লিয়ান্দ্রো পারেদেসের বাড়ানো লম্বা বলটা বক্সে বুক দিয়ে রিসিভ করেন তিনি, এরপর দারুণ এক ওভারহেড কিকে করেন অবিশ্বাস্য এক গোল। তাতেই পিএসজির বড় জয় নিশ্চিত হয়ে যায়।