কেয়াফুল
শ্রাবণ মেঘের বোতাম খুলে দেখি
একঝাঁক মুক্তচিন্তার হরিয়াল উড়ছে
আকাশে। যাদের হৃদয়ে প্রেম নেই
তারা মানুষ নামের কলংক। যতোই
গাওনা কেন কূলহারা কলংকিনি
কেউ তোমায় ভালোবাসবে না
মানুষের ভালেবাসা পেতে হলে
শ্রাবণ ধারায় অনগাহন করো
তাহলেই হয়ে যাবে কেয়াফুল
কদমস্নান
শ্রাবণ মেঘের কলার চেপে ধরেছে
কিছু দুষ্ট লোক। তাই বৃষ্টি হচ্ছেনা
বৃষ্টি মানে রংধনু যতোই দুষ্ট লোকেরা
মেঘের ফাঁকা আওয়াজ করুক
একদিন কদমস্নান করবো শ্রাবণে।
শ্রাবণ মেঘ
শ্রাবণমেঘ একখন্ড জমি চেয়েছিল
যাতে সে ভর্তি হতে পারে অক্সফোর্ড
মিশন স্কুলে। সে চেয়েছিলো প্রতিদিন
গীর্জার ঢং ঢং ঘন্টাধ্বনি শুনে আঁকবে চন্দ্রদ্বীপের চাঁদ
মাসিমার মতো কেউ ডাকেনা
আয় শ্রাবণ আয়……
তাই অভিমানি শ্রাবণ মেঘ
এখন পাত্রি খোঁজে রৌদ্রধারায়
বৃষ্টির ফেরিওয়ালা
বৃষ্টির বাথটবে গোছল করে দেখি
সারি সারি আরজ জেগে আছে
তার দর্শনে শ্রাবণ বৃষ্টি নেমেছে
চন্দ্রদ্বীপের জামায়। সেই জামার বোতাম খুলে দেখি
একমুঠো কীর্তনখোলা ডোংগা ভাসিয়েছে
লঞ্চঘাটে। আমরাতো বৃষ্টি ফেরিওয়ালা বৃষ্টি ঝরাই অবিরাম
সুগন্ধা বাতাসে।
বৃষ্টির পানি
বৃষ্টিও শিখে গেছে হাঁকডাক
তাই ভরা বর্ষায় মেঘের কাছে ঋণি হবার কারণে দেখেনা দুকূল ভাসানো নদীর দুঃখ।
তুমি যদি মেঘ হও আমি বন্ধ করে দেবো হারইন দিনের খেলা। বৃষ্টির
পাপড়িতে ভিজে যাবো তোমার বাড়ি
কদমফুল হয়ে প্রনাম করো মেঘকে
তাহলেই ঝরবে বন্ধু বৃষ্টির পানি
অমরার চিঠি
আমার মরন হয় যেন শ্রাবণে
কবরের পাশে লাগিয়ে দিও
একটি কদমচারা। সেই চারা যখন
পল্লবিত হবে তখন
কদমফুল আমাকে রোজ চিঠি দেবে।
অমরায় সেই চিঠি পড়তে পড়তে
আমি হোগলগুঁড়ি খুূূদের পায়েশ খাবো।