খাদ্যশস্য বোঝাই আরও তিনটি জাহাজ ইউক্রেনের বন্দর ছেড়েছে। এগুলো পরিদর্শনের জন্য তুরস্কের পথে রয়েছে। শুক্রবার তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে। জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় আটকে পড়া খাদ্যশস্য রফতানির জন্য রাশিয়া ও ইউক্রেনের চুক্তি যে কার্যকর, এতে তা প্রমাণিত হচ্ছে। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এখবর জানিয়েছে।
ইউক্রেন ও রাশিয়া বিশ্বের দুটি শীর্ষ গম উৎপাদনকারী ও রফতানিকারক দেশ। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করলে বৈশ্বিক জ্বালানি ও খাদ্য সরবরাহ দেখা দেয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই তিনটি জাহাজে ৫৮ হাজার টন ভুট্টা রয়েছে। ইউক্রেনের রফতানি করা এসব শস্যের বেশিরভাগ পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ শুরুর পর গত সপ্তাহের শুরুতে প্রথম শস্যবাহী জাহাজ ইউক্রেন ত্যাগ করে। গুরুত্বপূর্ণ চুক্তির আওতায় এটি কৃষ্ণ সাগর পাড়ি দেয়। বুধবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে এটি পরিদর্শন শেষে লেবাননের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।
শুক্রবার যে তিনটি জাহাজ ইউক্রেন থেকে রওনা দিয়েছে সেগুলো যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনীয় বন্দরে আটকে পড়া অসংখ্য চালানের মধ্যে কয়েকটি।
কয়েক হাজার টন খাদ্যশস্য রফতানি শুরু হলেও এই পরিমাণ বন্দরগুলোতে আটকে পড়া ২০ মিলিয়ন টনের ক্ষুদ্র অংশ।
ওয়াশিংটনভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউট-এর কৃষি ও বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ ডেভিড ল্যাবোর্ডে বলেছেন, আটকে পড়া খাদ্যশস্যের মধ্যে প্রায় ৬ মিলিয়ন টন গম এবং এগুলোর মাত্র অর্ধেক মানুষের খাদ্য।