টাঙ্গাইলে ঈগল পরিবহনের একটি চলন্ত বাসে যাত্রীদের সর্বস্ব লুট ও গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া আব্দুল আউয়াল ও নুরনবী মাদকদ্রব্য নিতেন বলে ধারণা করছে পুলিশ।
তাদের আচার-আচরণে এমন বৈশিষ্ট্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার। শুক্রবার (৫ আগস্ট) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।
এ ঘটনায় প্রথম গ্রেপ্তার হওয়া রাজা মিয়ার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে আউয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সকাল ৯টার দিকে নুরনবীকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
আওয়াল গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং নুরনবী কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার ধনারচর পশ্চিম পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ সুপার বলেন, গ্রেপ্তার নুরনবীর কাছ থেকে লুট করা একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যান্য মালামাল উদ্ধারে অভিযান চলছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আওয়াল পুলিশকে জানিয়েছে, যাত্রীদের কাছ থেকে লুট করা মোবাইল তার কাছে ছিল। তিনি একটি মোবাইল বিক্রি করেছেন। আরেকটি একজনকে দান করেছেন।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, দূরপাল্লার যে ঈগল পরিবহন বাস রয়েছে আসলে এটি সেই ঈগল পরিবহন নয়। এই বাসটি মূলত ঈগল এক্সপ্রেস। তাদের মাত্র ৫টি পরিবহন রয়েছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাতে কুষ্টিয়া থেকে ঈগল পরিবহনের একটি বাস অন্তত ২৪ জন যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়। রাত আনুমানিক ১২টার দিকে বাসটি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নাটিয়াপাড়া এলাকা পৌঁছালে একদল ডাকাত অস্ত্রের মুখে পুরো বাসের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এ সময় যাত্রীদের কাছে থাকা মোবাইল ফোন, টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করেন তারা। পরে ডাকাতরা গাড়িটির এক নারী যাত্রীকে গণধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।