টাঙ্গাইলে ঈগল পরিবহনের চলন্ত বাসে অস্ত্রের মুখে ডাকাতি ও এক নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় আরও দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দিবাগত গভীর রাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর বাসস্ট্যান্ড এবং সোহাগ পল্লী থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার সকালে পুলিশ সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ সুপার সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন।
সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার হওয়া রাজা মিয়ার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে এই দুজনকে গ্রেপ্তার করে। তারা ধর্ষণের ঘটনায় সরাসরি সম্পৃক্ত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে এ ঘটনায় জড়িত রাজা মিয়াকে (৩২) বৃহস্পতিবার ভোরে টাঙ্গাইল শহরের দেওলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতে তুলে তার সাত দিনের রিমান্ড চাইলে বিচারক পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অন্যদিকে, ধর্ষণের শিকার নারী আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেন।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কুষ্টিয়া থেকে ঈগল পরিবহনের একটি বাস অন্তত ২৪ জন যাত্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়। রাত ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জে জনতা নামে একটি হোটেলে খাবারের বিরতি দেওয়া হয়। সেখান থেকে সাড়ে ১১টার দিকে যাত্রা করলে তিন দফায় বাসটিতে ১০ ডাকাত সদস্য বাসটিতে ওঠে। রাতে অস্ত্রের মুখে ডাকাতরা পুরো বাসের নিয়ন্ত্রণ নেয়।
প্রথমে পুরুষ যাত্রীদের পোশাক খুলে হাত-মুখ বাঁধা হয়। আর বাসের পর্দা ও সিট কভার খুলে নারী যাত্রীদের মুখ ও হাত বেঁধে ফেলা হয়। এরপর অস্ত্রের মুখে বাসের চালক ও সহকারীকে জিম্মি করা হয়। এ সময় ডাকাতদলের সদস্য রাজা বাস চালায়। টাঙ্গাইলের গোড়াই এলাকা থেকে বাসটিকে ইউর্টান করে এলেঙ্গা হয়ে ময়মনসিংহ রোড ধরে যেতে থাকে। এরই মধ্যে যাত্রীদের কাছে থাকা মোবাইল ফোন, টাকা, কানের দুল, হাতের বালা, গলার চেইন লুট করা হয়। পরে ৫-৬ জন ডাকাত গাড়ির এক নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করে। রাত সাড়ে ৩টার দিকে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের পাশে বালুর ঢিবির কাছে বাস থামিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
এ ঘটনায় ডাকাতি ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।