এশীয় ক্রেতাদের জন্য জ্বালানি তেলের দাম রেকর্ড পরিমাণে বাড়িয়েছে সৌদি আরব। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত তেল উত্তোলন ও বিপণন কোম্পানি সৌদি আরামকোর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলতি আগস্ট থেকে প্রতি ব্যারেল তেলের জন্য এশীয় ক্রেতাদের অতিরিক্ত ৫০ সেন্ট (হাফ ডলার) বেশি দিতে হবে। অতীতে কখনো সৌদির পক্ষ থেকে এশীয় ক্রেতাদের জন্য জ্বালানি তেলের দাম এই পরিমাণ বাড়ানো হয়নি।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে থাকায় বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রাখতে সৌদি সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আরেকটি কারণ হতে পারে, বুধবার সৌদি আরব ও রাশিয়ার জ্বালানি তেল বাণিজ্য বিষয়ক জোট ওপেক প্লাস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জুলাই মাসে সৌদি আরবে জ্বালানি তেলের উৎপাদন কম হয়েছে।
সাধারণত এশীয় ক্রেতাদের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দেয় সৌদি আরব। কিন্তু ওপেক প্লাসের এই বিবৃতির একদিন পরই তেলের দাম বাড়িয়ে বিবৃতি দিল আরামকো।
গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর অভিযান শুরুর পর রাশিয়ার জ্বালানি তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ। ফলে বিশ্বজুড়েই বাড়তে থাকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। গত মে-জুন মাসে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুড জ্বালানির দাম ছুঁয়েছিল ১৩০ ডলারের মাইলফলক; যা বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের বাজারে সর্বোচ্চ দামের রেকর্ড।
তবে গত মাস থেকে লিবিয়া থেকে অধিক হারে সরবরাহ আসতে থাকায় ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসে জ্বালানি তেলের দাম। বুধবার দাম ৪ শতাংশ কমে ১০০ ডলারের নিচে নেমেছে।
অপরিশোধিত ও পরিশোধিত— দু’ধরনের জ্বালানি তেলই বিক্রি করে সৌদি আরব। দেশটির অপরিশোধিত তেলের বেশিরভাগই কেনে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ। আর পরিশোধিত তেলের অধিকাংশই যায় এশিয়ার বাইরের বিভিন্ন দেশে।