ভ্যাকসিন সংকট ও মাঙ্কিপক্স শনাক্তের হার বাড়তে থাকায় গত একমাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া, সান ফ্রান্সিসকো এবং নিউইয়র্কে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা করা হয়েছিল। এবার মার্কিন জনস্বাস্থ্য বিভাগ পুরো দেশে মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাবকে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) মার্কিন স্বাস্থ্য ও মানবসেবা বিভাগের সচিব জেভিয়ের বেসেররা এক ব্রিফিংয়ে এ ঘোষণা দেন।
আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায়, প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের সকল নাগরিককে মাঙ্কিপক্সকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জেভিয়ের বেসেররা।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) অনুসারে, বুধবার পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মাঙ্কিপক্সে মোট আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ছয় হাজার ছাড়িয়েছে। তবে এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি।
এর আগে ২৩ জুলাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) মাঙ্কিপক্সের বিস্তারকে জনস্বাস্থের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল।
মাঙ্কিপক্স ভাইরাস সংক্রমিত রোগ। সাধারণত মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে প্রাণীদের এ রোগ হতে দেখা যায়। প্রাণীদেহ থেকে এ রোগ মানবদেহে ছড়ায়। আফ্রিকার দেশগুলোতে এর আগে কয়েকবার এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। মধ্য আফ্রিকায় ১৯৫০ এর দশকে প্রথম এ রোগ শনাক্ত হয়। এ রোগের চিকিৎসাও আছে।
ঘনিষ্ঠ শারীরিক সংস্পর্শের মাধ্যমে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস এক দেহ থেকে আরেক দেহে ছড়ায়। এবারের প্রাদুর্ভাবে পুরুষরা বিশেষ করে সমকামী পুরুষরা বেশি আক্রান্ত হয়েছেন।
মাঙ্কিপক্সের প্রাথমিক উপসর্গ হচ্ছে জ্বর, মাথাব্যথা, হাড়ের জোড়া ও মাংসপেশিতে ব্যথা এবং অবসাদ। জ্বর শুরু হওয়ার পর দেহে গুটি দেখা দেয়। এসব গুটি শুরুতে দেখা দেয় মুখে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে হাত এবং পায়ের পাতাসহ দেহের অন্যান্য জায়গায়। এই গুটির জন্য রোগী দেহে খুব চুলকানি হয়। পরে গুটি থেকে ক্ষত দেখা দেয়। জলবসন্তের মতই রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠলেও দেহে সেই ক্ষত চিহ্ন বেশ কয়েকদিন রয়ে যায়। রোগ দেখা দেওয়ার ১৪ থেকে ২১ দিনের মধ্যে রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন।