চলতি বছরের জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ১৯ শতাংশ কমেছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বুধবার (৩ আগস্ট) পরিকল্পনা কমিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, চাল ও তেলের দাম কমায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে।
নিম্ন আয়ের মানুষের বেশি ব্যবহৃত নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ে আলাদা হিসাব করার পরিকল্পনা আছে বলেও জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি কমেছে ৮ দশমিক ১৯ শতাংশ। সার্বিকভাবে জুন মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ সেটা জুলাই ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ দাঁড়িয়েছে। আগস্টে মূল্যস্ফীতি আরও কিছুটা কমবে বলে আশা করছি। ৪২২টি দ্রব্য নিয়ে মূল্যস্ফীতি হিসাব করা করা হয়েছে।
মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, অনেকে বলেছিল বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে তাদের জন্য বলতে চাই আমরা শ্রীলঙ্কা হয়নি হবো না। মূল্যস্ফীতির হার কমতে শুরু করেছে। আপনারা দেখছেন খাদ্যের জাহাজ রাশিয়া থেকে সাগরে ভাসতে ভাসতে আমাদের তীরে আসবে। তেল, চাল ও গমের দাম কমছে। সামনে মূল্যস্ফীতির কমতির ধারা অব্যাহত থাকবে। এটা আমাদের জন্য ভালো খবর। আমরা জানি মূল্যস্ফীতি বাড়লে মানুষের কষ্ট হয়।
বিবিএসের তথ্যে মাসওয়ারী পেঁয়াজ, ডাল, চিনি, মুড়ি, মাছ, মাংস, ব্রয়লার মুরগি, ফল, তামাক, দুগ্ধজাতীয় পণ্য এবং অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীর দাম কিছুটা কমেছে। ডিম, শাকসবজি ও মসলা জাতীয় পণ্যের দামও কমেছে বলে দাবি সংস্থাটির।