কুমিল্লার বরুড়ায় একসঙ্গে হাসপাতালে জন্ম নেওয়া দুই শিশুর নাম রাখা হয়েছিল পদ্মা ও সেতু। এই দুই শিশুর আজীবন সরকারি হাসপাতালগুলোতে ফ্রি চিকিৎসার ঘোষণাও দেওয়া হয়।
তবে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফেরার ছয় দিনের মাথায় ইসলামিক নাম রাখতে আত্মীয়-স্বজনদের চাপে তাদের তাদের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় উম্মে হানি আয়েশা ও আরোহী আঁখি।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) শিশু দুটির মা সাবিকুন নাহার ঝুমুর জানান, গত ২১ জুন জন্ম নেওয়ার পর বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কামরুল হাসান সোহেল ওই দুই শিশুর নাম রাখেন পদ্মা ও সেতু। পরে হাসপাতালে থেকে ছাড়পত্র পেয়ে বাড়িতে যান তারা। জন্মের ছয় দিন পর (২৭ জুন) ওই দুই শিশুর নাম পরিবর্তন করে উম্মে হানি আয়েশা ও আরোহী আঁখি রাখা হয়।
হাসপাতাল থেকে আসার পর আত্মীয়-স্বজনরা ইসলামিক নাম রাখার জন্য তাড়না দেন জানিয়ে শিশুদের দাদা শুকুর আলী বলেন, “শিশু দুটির বাবা সোহাগের পছন্দে নাম উম্মে হানি আয়েশা ও আরোহী আঁখি রাখা হয়।”
এ বিষয়ে ডা. কামরুল হাসান সোহেল বলেন, “শিশু দুটির নাম তাদের পরিবারের লোকজনের সম্মতিতে পদ্মা ও সেতু রাখা হয়। পরে যদি তাদের নাম পরিবর্তন করা হয় তাহলে এটা তাদের পরিবারের বিষয়। তারা হাসপাতাল থেকে যাওয়ার সময় তাদের মোবাইল নম্বর রাখা হয়নি, তাই তাদের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ হয়নি।”
উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই কুমিল্লার বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যমজ দুই কন্যা শিশুর জন্ম দেন উপজেলার শশইয়া দক্ষিণ পাড়া ডিলার বাড়ির সৌদি প্রবাসী সোহাগ মিয়ার স্ত্রী সাবিকুন নাহার ঝুমুর। পরে ওই দিনই পরিবারের সম্মতিতে শিশু দুটির নাম পদ্মা ও সেতু রাখেন ওই চিকিৎসক।