মোরগের মাংস রান্না করেছিলেন স্ত্রী।স্বামীর কাছে সেটি স্বাদের মনে হয়নি। আর তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওই স্বামীতার স্ত্রীকে লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে
শনিবার (৩০ জুলাই) রাতে সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নের বাঙালভিটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই নারীর নাম রুজানি দাজেল (৪৫)। অভিযুক্ত স্বামীর নাম আবেল সাংমা (৫০)।
এ ঘটনায় রুজানির ছোট ভাই আদম দাজেল বাদী হয়ে ভগ্নিপতি আবেল সাংমাকে আসামি করে মধ্যনগর থানায় হত্যা মামলা করেছেন। পুলিশ অভিযুক্ত আবেল সাংমাকে গ্রেপ্তার করেছে।
মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ওই নারীর লাশের ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ জেলা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।”
পুলিশ, এলাকাবাসী ও নিহদের স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, আবেল সাংমা পেশায় কৃষক। তার স্ত্রী রুজানি দাজেল গৃহিণী। তাদের চারটি সন্তান রয়েছে। শনিবার রাতের খাবার হিসেবে রুজানি মোরগের মাংস রান্না করেন। কিন্তু রান্না করা মাংস সুস্বাদু না হওয়ায় স্ত্রীর ওপর রেগে যান আবেল সাংমা। এ নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে রান্নাঘরে থাকা লোহার পাইপ দিয়ে আবেল স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি পেটান আবেল।এতে রুজানি ঘটনাস্থলেই অচেতন হয়ে পড়েন। রাত ১০টার দিকে প্রতিবেশীরা স্থানীয় মহিষখলা বাজার থেকে এক পল্লিচিকিৎসককে নিয়ে এলে তিনি তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে প্রতিবেশীরা মধ্যনগর থানায় ঘটনাটি জানান। খবর পেয়ে রবিবার সকালে গিয়ে রুজানির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে স্বামী আবেল সাংমাকে আটক করে।
এ বিষয়ে ওসি জাহিদুল হক বলেন, “এ ঘটনায় নিহত নারীর ছোট ভাই আদম দাজেল বাদী হয়ে আবেল সাংমাকে আসামি করে আজ সন্ধ্যায় থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। ওই মামলায় আবেল সাংমাকে আটক করা হয়েছিল। তাকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।”