টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ধলেশ্বরী নদীতে বরশিতে ধরা পরেছে ১০০ কেজি ওজনের শুশুক মাছ। পরে স্থানীয় বাজারে মাছটি ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। রোববার (৩১ জুলাই) ভোরে উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া এলাকার ধলেশ্বরী নদীতে সেন্টু নামে স্থানীয় এক যুবকের বরশিতে ধরা পড়ে মাছটি।
সেন্টু উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের চরডাঙ্গা গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে।
এলাকাবাসী জানায়, ধলেশ্বরী নদীতে সেন্টু গতকাল রাতে বোয়াল মাছ ধরার জন্য বড়শি (জিয়ালা বড়শি) ফেলে আসেন। সকালে বড়শিতে একটি বোয়াল মাছ আটকে যায়। এ সময় শুশুক বোয়াল মাছটি খাওয়ার সময় বড়শিতে আটকে যায়। পরে সে মাছটি খুলে আনার জন্য গেলে বিশাল আকৃতির শুশুক দেখে ভয়ে চলে আসেন সেন্টু। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় মাছটি নদী থেকে তুলে নিয়ে আসেন। শুশুক মাছটি জাঙ্গালীয়া বাজারে সকালে নেওয়া হলে বিশালাকৃতির মাছটির খবর পেয়ে আশপাশের হাজারো লোকজন দেখতে ভিড় জমায়।
সেন্টু মিয়া বলেন, বোয়াল মাছ মারা বড়শি নদীতে ফেলে আসি। বড়শি ফেলার পর ছোট একটি বোয়াল মাছ বরশিতে ধরা পড়ে। এ সময় ওই বিশাল আকৃতির শুশুক বোয়াল মাছটি গিলে ফেলে। ওই মাছটি দেখে আমি ভয় পেয়ে ডাক চিৎকার শুরু করি। আমার চিৎকার শুনে নদী পাড়ের লোকজন ছুটে আসেন। শুশুক মাছটির ওজন আনুমানিক ১০০ কেজি হবে। পরে স্থানীয় বাজারে নেওয়া হলে স্থানীয়রা ১৫ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেয়।
শুশুক মাছের ক্রেতা ইসমাইল মিয়া জানান, মাছটি ১৫ হাজার টাকায় সেন্টুর কাছ থেকে কিনে নিয়েছি। পরে আমরা কয়েকজন মিলে মাছটি ভাগ করে নিয়েছি।
নাগরপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মাছুম বিল্লা জানান, সামুদ্রিক প্রজাতির এই মাছগুলো এখন বিলুপ্তির পথে। এটি সংরক্ষিত প্রাণী। খবর পাওয়ার আগেই স্থানীয়রা মাছটি কিনে ভাগাভাগি করে নিয়ে গেছেন। তবে এটি মারা, ধরা ও খাওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ধরনের মাছ শিকার থেকে বিরত থাকতে আমরা স্থানীয়দের সতর্ক করে দিয়েছি।