ভোলায় জেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আবদুর রহিম নামে ইউনিয়ন পর্যায়ের এক যুবদল নেতা নিহত হয়েছেন। পুলিশসহ আহত হয়েছেন অনেকে। আহতদের মধ্যে ২০ জনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ রোববার বেলা ১১টায় মহাজনপট্টিতে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে বিএনপি। সভাশেষে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে রাস্তায় বের হলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফরহাদ সরদার জানান, বিএনপি নেতাকর্মীরা রাস্তায় বের হয়ে উচ্ছৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। পুলিশ বাধা দিলে তাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১৫৩ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোড়ে এবং ৩০ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীরের অভিযোগ, তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ হামলা চালিয়ে গুলি করেছে। এতে যুবদল নেতা আবদুর রহিম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। এছাড়া তাদের শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসা চলছে।
সারাদেশে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও বিদ্যুতের অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে বিএনপি এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেছিল। এতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেনসহ জেলার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এবিএম মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন, অন্তত ৩ থেকে ৪ হাজার নেতাকর্মী সমাবেশে উপস্থিত হয়েছিলেন। কোনো উসকানি ছাড়াই পুলিশ মিছিলে লাঠিচার্জ ও গুলি করেছে। আমি মিছিলের সামনেই ছিলাম। আমাকে মেরেছে, কাউকেই বাদ দেয়নি। আমরা সরে যাওয়ার সুযোগই পাইনি।
এই সমাবেশ ও মিছিলের অনুমতি সম্পর্কে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ জানান, অনুমতি চাইলে হয়রানি করে। স্থানীয় পুলিশ ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের জানিয়েছিলাম। তারা মৌখিক অনুমতি দিয়েছিলেন। সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে কয়েকশ গজ যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু মিছিল নিয়ে বের হতেই হামলা চালায় পুলিশ।