বৈশ্বিক অর্থনীতির বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর সব ধরনের যানবাহন কেনায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি আপ্যায়ন, ভ্রমণ, কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, আসবাবপত্র ও অন্যান্য মনোহারি ব্যয় ৫০% কমাতে বলা হয়েছে।
বুধবার (২৭ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে। সরকার আমদানি ব্যয় কমানোর ক্ষেত্রে বেশ কিছু উদ্যোগের অংশ হিসেবে এ নির্দেশনা দিয়েছে।
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ায় সামষ্টিক অর্থনীতি বর্তমানে কিছুটা অস্থিতিশীল আছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত আগের অর্থবছরের তুলনায় আমদানি ব্যয় ৩৯% বেড়ে ৭৫.৪০ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
এ সময়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ আগের বছরের তুলনায় ১৫% কমে ২১.৩ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। গত সপ্তাহে, দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩৯.৬৭ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের ডিসেম্বরে রিজার্ভ ছিল ৪৬.১৫ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনাগুলো হলো
নতুন/প্রতিস্থাপক হিসেবে সব প্রকার যানবাহন ক্রয় বন্ধ থাকবে।
শুধু জরুরি ও অপরিহার্য ক্ষেত্র বিবেচনায় আপ্যায়ন, ভ্রমণ, কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি, আসবাবপত্র ও অন্যান্য মনিহারি খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৫০% ব্যয় করা যাবে।
সাশ্রয়কৃত অর্থ অন্যকোনো খাতে বরাদ্দ বা ব্যয় করা যাবে না।
এই নির্দেশনা অনুসারে ব্যয় কমানো সংক্রান্ত তথ্য ও দলিলাদি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংরক্ষণ করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক পরিদর্শনকালে নিরীক্ষার নিমিত্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শকদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে সরবরাহ করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় আরও বলা হয়, চলতি বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের ব্যয়িত অর্থ ডিসেম্বরের আর্থিক বিবরণী এবং আগামী জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ের ব্যয়িত অর্থ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের আর্থিক বিবরণীতে দেখাতে হবে।