প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ পাকিস্তানের কেটু’র চূড়ায় আরোহণ করেছেন ওয়াসফিয়া নাজরিন। পর্বতারোহণ গাইড কোম্পানি এলিট এক্সপেডের তথ্য অনুযায়ী, ৩৯ বছর বয়সী ওয়াসফিয়া বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ১১ জন আরোহীর সঙ্গে এই মিশন সম্পন্ন করেছেন।
শুক্রবার (২৩ জুলাই) ওয়াসফিয়া ও অন্যান্য আরোহীসহ গাইড দলের সদস্যদের একটি ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছে এলিট এক্সপেড।
ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এলিট এক্সপেড বলে, “শতভাগ সাফল্যের হার! অসাধারণ এই মওসুম। কে টু অভিযানে আমাদের অবিশ্বাস্য দলটি তাদের লক্ষ্য অর্জন করেছে।”
কে-টুর চূড়ায় উঠার জন্য গত ১৭ জুলাই রাতে যাত্রা শুরু করেন ৩৯ বছর বয়সী এই পর্বতারোহী। রেনেটা লিমিটেডের পৃষ্ঠপোষকতায় এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ও বিখ্যাত ৩ পর্বতারোহী- মিংমা তেনজি শেরপা, মিংমা ডেভিড শেরপা ও নির্মল পুরজা।
সেদিন এক ফেসবুক পোস্টে ওয়াসফিয়া নাজরীন বলেন, “আমরা আজ রাতে নিমসদাই, মিংমা তেনজি শেরপা এবং মিংমা ডেভিড শেরপার নেতৃত্বে কে-টুর জয়ের জন্য যাত্রা করছি। সব ঠিকঠাক থাকলে এক সপ্তাহের মধ্যেই সুখবর আসবে। কোনো খবর না থাকলেও, ভালো আছি জানবেন। আমি সবচেয়ে শক্তিশালী দলের সঙ্গে আছি তাই চিন্তা করবেন না। শুধু আমার জন্য জোর প্রার্থনা করবেন। আপনাদের সবার জন্য ভালোবাসা…”
এরই মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২০১১ সালে শুরু হওয়া তার সাত চূড়ায় উঠার অভিযান সমাপ্ত হয়েছে।
২০১২ সালের ২৬ মে তিনি বাংলাদেশের দ্বিতীয় নারী হিসেবে মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় উঠেছিলেন। এর আগে তিনি দক্ষিণ আমেরিকার অ্যাকনকাগুয়া ও আফ্রিকার কিলিমাঞ্জারো পর্বত আরোহণ করেন।