বাংলাদেশ চলতি অর্থবছরে (২০২২-২০২৩) পণ্য ও সেবা রপ্তানি করে ৬৭ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে আগের অর্থবছরে ৫২ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও প্রকৃত রপ্তানি ৬০ বিলিয়নের বেশি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বুধবার (২০ জুলাই) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নতুন অর্থবছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করার সময় বাণিজ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “আগের বছরের প্রকৃত আয় থেকে ১১.৩৬% প্রবৃদ্ধি ধরে নতুন অর্থ বছরে ৫৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানির প্রত্যাশা করা হচ্ছে। আর সেবাখাতে ১২.৫% প্রবৃদ্ধি ধরে ৯ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। সামগ্রিকভাবে পণ্য ও সেবা খাত মিলে মোট ৬৭ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।”
তিনি জানান, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৪৩.৫ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে পণ্য রপ্তানি থেকে ৫২.০৮ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা ছিল লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৯.৭৩% বেশি এবং আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৪.৩৮% বেশি। আর সেবা খাতে গত অর্থবছরে ৮ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬.৬৭% বেশি। পণ্য ও সেবা খাত মিলে ৫১ বিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আয় হয় মোট ৬০.০৮ বিলিয়ন ডলার, যা ছিল লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৭.৮০% বেশি।
নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের ক্ষেত্রে ইউরোপে চলমান দাবদাহ, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অস্থিতিশীল পরিস্থিতি, মূল্যস্ফীতিসহ অন্যান্য চ্যালেঞ্জগুলোও বিবেচনায় নেওয়ার কথা বলেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী।