পাকিস্তানের পাঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রী মিয়া মোহাম্মদ শাহবাজ শরীফের দল পিএমএল-এনকে বড় ধাক্কা দিয়ে বিধানসভা উপনির্বাচনে ২০টির মধ্যে ১৫টি আসনে জিততে চলেছে ইমরানের দল। তারাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে।
রবিবার (১৭ জুলাই) পাঞ্জাবে ২০টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা না হলেও বলা হচ্ছে, ২০টি আসনের মধ্যে ১৫টিতে জিতেছে ইমরানের দল এবং শাহবাজ শরীফের পিএমএল-এন জিতেছে মাত্র চারটি আসনে।
এই ফলাফল ইমরানের পিটিআই এবং শাহবাজ শরীফের পিএমএল-এন মেনে নিয়েছে। ইমরান খান এরপরই দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের দাবি করেছেন। আর পিএমএল-এনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তারা আত্মসমীক্ষা করবেন।
এই ফলের পর পাঞ্জাবে বিধানসভায় ইমরানের দলই সবচেয়ে বড় দলে পরিণত হলো। তারা এবার শাহবাজের ছেলে ও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হামজা শরীফকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে নিজেদের সরকার গঠনের জায়গায় পৌঁছে গেল।
এর আগে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে হামজা শরীফকে সমর্থন করার জন্য ২০ জন এলএলএ-র সদস্যপদ খারিজ হয়। সেখানেই উপনির্বাচন হয়েছিল। এর মধ্যে ১৯টি পাঞ্জাবে এবং একটি লাহোরে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের মেয়ে এবং পিএমএল-এনের সহসভাপতি মরিয়ম নওয়াজ শরীফ টুইট করে বলেছেন, “আমরা মানুষের রায় মাথা নত করে গ্রহণ করছি।”
ইমরানের দল পিটিআইয়ের তরফে টুইট করে বলা হয়েছে, “এই ঐতিহাসিক ফলের পর আমরা গোটা বিশ্বকে জানাতে চাই, আমরা আমাদের দেশকে সম্মান করি। এখন পাকিস্তানি জনগণ যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটই হবে। আমাদের ভবিষ্যৎ কোনো বিদেশি শক্তি নির্ধারণ করতে পারবে না।”
ইমরান খান টুইট করে দলের সব কর্মীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “মানুষ শুধু পিএমএল-এল প্রার্থীদের হারায়নি, তারা পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে হারিয়েছে।” তিনি শরিক পিএমএলকিউ, এমডাব্লিউএম ও সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
পাঞ্জাবে ইমরানের দলের সদস্যসংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো ১৭৮, শরিক পিএমএলকিউয়ের আছে ১০ জন সদস্য। শাহবাজ শরীফের দলের সঙ্গে আছে ১৬৭ জন সদস্য।