ঢাকার হাজারীবাগ এলাকার একটি বাড়ি থেকে সাংবাদিক সোহানা তুলির (৩৮) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৩ জুলাই) বিকালে ২৯৯/৫ শেরে বাংলানগর, রায়ের বাজারের বাসার দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার বাড়ি যশোর সদরের বটতলা এলাকায়। তিনি ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে হাজারীবাগের এই বাসায় থাকতেন।
বিষয়টি নিশ্চত করেছেন হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুজ্জামান ।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ বিষয়টিকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছেন ওসি।
বুধবার সকালে নন্দীতা তাবাসসুম নামে এক বান্ধবী তাকে ফোনে পাচ্ছিলেন না। ফোনে সাড়া না পেয়ে তিনি হাজারীবাগে তুলির বাসায় আসেন। দরজায় নক করে সাড়া না পেয়ে নিরাপত্তারক্ষীকে সঙ্গে নিয়ে ভেতরে ঢোকেন। বাসায় ঢুকে ঝুলন্ত অবস্থায় সোহানাকে দেখে সবাইকে জানান নন্দীতা। বিকেলে পুলিশ সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সোহানা তুলি দৈনিক আমাদের সময়, দৈনিক কালের কণ্ঠে কাজ করেছেন। সর্বশেষ তিনি ২০২০ সাল পর্যন্ত অনলাইন সংবাদমাধ্যম বাংলা ট্রিবিউনে কর্মরত ছিলেন। এরপর কিছুদিন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। সম্প্রতি একটি অনলাইন শপ খুলে নারী উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন তুলি।
সোহানা তুলির ছোট ভাই মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, গতকাল যশোর থেকে ঢাকায় এসে এক বন্ধুর বাসায় উঠি। সর্বশেষ গতকাল দুপুরে আপুর সঙ্গে কথা হয়েছিল। বুধবার সকালে উঠে খিলক্ষেতে যাই। সেখানে ৩টার দিকে আব্বু ফোন করে ঘটনা জানান।
হাজারীবাগ থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পুলিশের ক্রাইম সিন ইউনিট আলামত সংগ্রহ করেছে।