রাত পোহালেই দেশে উদযাপিত হবে মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-আজহা। এদিন সকালে থেকে স্রষ্ট্রার সন্তুষ্টি লাভের আশায় পশু কোরবানি করবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। তবে এদিন অন্যান্য স্থানে খুব একটা অসুবিধা না হলেও কোরবানির পশু জবাই ও কাটাকাটি নিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয় রাজধানীবাসীকে।
এই সময়টাতে কসাইদের সংকট থাকে ঢাকায়। তাই প্রত্যেক বছর কোরবানি এলেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পেশাদার এবং মৌসুমি কসাইয়রা ঢাকা পাড়ি জমান। এ বছরও তার ব্যতয় ঘটেনি। ঈদের ছুটিতে অনেকেই যখন বাড়ি ফিরছেন তখন দেশের অনেক অঞ্চলের মতো উত্তরাঞ্চলের কসাইরা ভিড় করছেন ঢাকায়। বাস-ট্রেনের পাশাপাশি অনেকে বিমানে করেও ঢাকায় আসছেন বলে জানা গেছে। ঈদের তিন থেকে চার দিন তারা ঢাকায় অবস্থান করে বিভিন্ন এলাকায় কোরবানির পশু জবাই ও মাংস কাটার কাজ করবেন।
এ বিষয়ে দিনাজপুরের বিমানের টিকিট বিক্রেতা বেঙ্গল ট্রাভেলসের মালিক তোফায়েল আহম্মেদ জুয়েল বলেন, “প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন কসাই আমার কাছে বিমানের টিকিট নিয়েছেন। দিনাজপুরের বিমানের আরও যারা টিকিট বিক্রি করেন তাদের মাধ্যমেও কসাইরা ঢাকায় যাচ্ছেন। আবার অনেকেই ফিরতি টিকিটের জন্যও বলে রেখেছেন।”
দিনাজপুরের কসাইদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের অনেকেই বিমানে, ট্রেনে ও বাসে করে ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। অনেকেই ঢাকায় পৌঁছেও গেছেন। ঢাকায় যাওয়ার আগেই তারা চুক্তি করে যান পশু জবাই ও মাংস কাটার দরদাম নিয়ে। কারা কারা পশু জবাই দেবেন তাদের সঙ্গে আগেই চুক্তিবদ্ধ হন তারা।
স্থানীয় কসাইরা জানান, এবার পশু জবাই ও মাংস কাটার জন্য রেট ধরা হয়েছে পশুর দামের প্রতি হাজারে ২৫০ টাকা। অর্থাৎ ১০ হাজার টাকা দামের পশু হলে কসাইদের জবাই ও মাংস কাটার জন্য দিতে হবে আড়াই হাজার টাকা। আর লাখ টাকার পশুর জন্য কসাইকে দিতে হবে ২৫ হাজার টাকা। একইসঙ্গে তাদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থাও করতে হয় পশুর ক্রেতাদের।